ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সুদের টাকা নেব না, এটা হারাম : শাহরুখ খান

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
ফাইল ছবি

অনায়াসে পর্দায় দর্শকদের মন জয় করতে পারেন শাহরুখ খান। তার ছবি মানেই প্রেক্ষাগৃহে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কয়েক দশক ধরে বলিউডে রাজ করছেন কিং খান। তাই অভিনেতার ভক্ত সংখ্যাও কম নয়।

শুধু পর্দায় নয়, পর্দার বাইরেও এমন বহু কাজ করেছেন শাহরুখ যা পরবর্তী সময়ে তার প্রতি অনুরাগীদের ভালোবাসা আর সম্মান দুটোই বাড়িয়েছে। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা ফাঁস করলেন প্রয়াত নির্মাতা রবি চোপড়ার স্ত্রী রেণু চোপড়া।

রেণু জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের পরিবারের কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ। তার ছেলে সিদ্ধার্থের পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‍‍`ইত্তেফাক‍‍`-এর প্রযোজক হতে এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।


ছবির চিত্রনাট্যটুকুও শোনেননি শাহরুখ, এমনকী পড়েনওনি! শুধু তাই নয়, এই ছবি প্রযোজনা করার জন্য যে পরিমাণ টাকা শাহরুখ বিনিয়োগ করেছিলেন তার উপর সুদ নিতেও অস্বীকার করেছিলেন কিং খান।

রেণুর কথায়, আমাদের সব ছবিতে শাহরুখ শুধু অতিথি শিল্পী হিসেবেই অভিনয় করেছেন। এবার যখন ‍‍`ইত্তেফাক‍‍` ছবিটি প্রযোজনা করার কথা হলো, তখন শাহরুখকে বললাম- আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসতেছি।

“শোনামাত্রই শাহরুখ আমাকে বললেন, ‘রেণুজি, আপনি বড়। আপনি কেন আসবেন? আমি আসছি আপনার কাছে।’ তবে তখনই সে আসতে পারেনি। কারণ তার তো অনেক ব্যস্ততা। যে কারণে সপ্তাহ তিনেক পর আবারও ফোন করলাম। এবারও শাহরুখ জানালেন, তিনিই আসবেন আমার কাছে। এই যে বড়দের প্রতি যে সম্মান দেখায় শাহরুখ, তা অকল্পনীয়।”

রেণু বলেন, “এরপর শাহরুখ দেখা করতে এলো, আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করল এই ছবিতে তার কাজটা কী? ঠিক কী করতে হবে। আমি বলেছিলাম, ‘শাহরুখ আমার কাছে অত টাকা নেই যে এই ছবি প্রযোজনা করতে পারব। কিন্তু আমার ছেলে খুব মন দিয়ে কাজটা করতে পারে। এবার তুমি যদি এই ছবিটা প্রযোজনা করতে পার খুব ভালো হয়।”

শোনামাত্রই রাজি হয়ে যান শাহরুখ খান। চিত্রনাট্য পড়েনি, শোনেননি। শুধু বলেছিল, আপনার ছেলে কাজ করছে, এটুকুই আমার কাছে যথেষ্ট। আমি ঘোড়দৌড়ে নয়, ঘোড়া যে চালায় সেই জকির উপর বিনিয়োগ করতে পছন্দ করি।

“এরপর যখন সিনেমাটি শেষে শাহরুখকে ওর বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দিতে গিয়েছিলাম সুদসমেত, নিতে রাজি হয়নি। শাহরুখ বলেছিল, ‘সুদের টাকা নিতে পারব না। ওটা হারাম!’ এরকম সাচ্চা মানুষ শাহরুখ।”