সোনাক্ষী-জহির তাদের দুই পরিবারকে সাক্ষী রেখে আইনি মতে বিয়ে করেছেন গত বছর ২৩ জুন। তাদের ভিন্নধর্মে বিয়ে নিয়ে পরবর্তী মাস কয়েক তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। হিন্দু পরিবারের মেয়ে হয়ে মুসলিম পরিবারে বিয়ে করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক রোষানলে পড়তে হয়েছিল সোনাক্ষী সিনহাকে।
এককথায় বিয়ের পর একাধিকবার শুধুমাত্র ‘ধর্মের কারণে’ই বিতর্কের শিরোনামে এসেছেন সোনাক্ষী। শোনা যায়, এ ভিনধর্মী বিয়ের জন্যই নাকি অভিনেত্রীর দুই ভাই লব-কুশ তাদের অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। কিন্তু সমালোচকরা সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা উপেক্ষা করে তারা দিব্যি সুখের সংসার করছেন। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই সংসারের সুখ অনুভব করা যায়। এবার স্বামীর হয়ে মুখ খুললেন সোনাক্ষী সিনহা।
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানিয়েছেন, বাবা শত্রুঘ্ন তাদের বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলেন বলেই ভাইদের অনুপস্থিতি নিয়ে অতটা তিনি চিন্তু করেননি। বিয়ের পর ভিন্নধর্মের শ্বশুরবাড়ির অবস্থান নিয়েও এই প্রথম মুখ খুললেন সোনাক্ষী সিনহা।
এ প্রসঙ্গে সোনাক্ষীর ভাষ্য, ‘আমি আর জহিরের বিয়ের মাঝে ধর্ম কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আমরা কোনোদিন ধর্মটাকে সেভাবে গুরুত্বই দিইনি। ভেবেছিলাম, আমরা একে-অপরকে ভালোবাসি। আমরা বিয়ে করতে চাই। জহির ইকবাল কোনোদিন তার ধর্ম আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি। আমিও আমার ধর্ম তার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইনি। আমাদের মধ্যে কখনো ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। আমরা একে-অপরের ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল বরাবর।’
সোনাক্ষী আরও বলেন, ‘জহিরের বাড়িতে তাদের সব রীতি-নীতি পালন হয়। আর আমি আমার বাড়িতে আমার মতো উৎসব-অনুষ্ঠান করি। জহির তো আমাদের দিওয়ালির পূজাতেও অংশ নেয়। আমিও শ্বশুরবাড়ির উৎসবে তাদের মতো করে যোগ দিই। বিয়ের আগে কিংবা পরে আমাকে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে কিংবা জহির কোনোদিন মুসলিম ধর্মগ্রহণ করার জন্য চাপ দেয়নি।’
আপনার মতামত লিখুন :