ধর্ষণের বিচার চেয়ে শিল্পী সমিতির মানববন্ধন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম

ধর্ষণের বিচার চেয়ে শিল্পী সমিতির মানববন্ধন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বর্তমানে দেশ এক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন খবর আসছে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সহিংসতার। সমাজের প্রতিটি মানুষই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। দেশের আর পাঁচটা মানুষের মতো শোবিজ কর্মীরাও আতঙ্কিত বর্তমান পরিস্থিতিতে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মাগুরায় পাশবিকতার শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া। নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে উত্তাল দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে এফডিসির প্রধান ফটকে ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কমল পাটেকার, নির্বাহী সদস্য রোজিনা, রুমানা ইসলাম মুক্তি, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, পলি, সনি রহমান, জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, রাশেদা চৌধুরী, কেয়া চৌধুরী, চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, অনিক রহমান অভি, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, তানিন সুবহা, মৌমিতা মৌ, অভিনেতা জাদু আজাদ, ইমরান হাসো’সহ চলচ্চিত্রের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিল্পীরা ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া’, ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার বোনের কান্না আর না আর না’ এসব স্লোগান দেন। পরে তারা এফডিসির সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

বক্তব্য মিশা সওদাগর বলেন, ‘আজকে নতুন বাংলাদেশে আমাদের এরকম একটি জায়গায় দাঁড়াতে হচ্ছে এটা আসলে লজ্জাজনক। তবুও এ লজ্জা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি ঘটে যাচ্ছে তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যারা ধর্ষণ করে এবং যারা এদের মদদ দেয়, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’

‘চাঁদের আলো’খ্যাত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি বলেন, ‘নারীকে নারী হিসেবে না, মানুষ হিসেবে ভাবুন। সোহাগী জাহান তনু থেকে আছিয়া, আর কত? প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। যেগুলো প্রকাশ্যে আসে তা শুধু আমরা জানতে পারছি। কিন্তু এমন অনেক ঘটনা আমাদের অজানা। এর শেষ কোথায়? নারীরা কি রাস্তায় কোনো দিন নিরাপদে চলতে পারবে না? ধর্ষণের একটা খবর ভাইরাল হলে তখনই আন্দোলন শুরু হয়। এর মধ্যে গত কয়েক বছরে যেসব ধর্ষণ হয়েছে সেগুলোর বিচার চাপা পড়ে গেছে। এসবের থেকে চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য একটি সিস্টেম চালু করতে হবে, যেটার মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হবে। ধর্ষকদের এমন শাস্তি চাই যা দেখে অন্যদের এই কাজ করতে বারবার ভাবতে হয়।’

এসময় ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান উপস্থিত শিল্পীরা।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী সেই শিশু। ধর্ষক তাকে হত্যারও চেষ্টা চালায়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!