বছর যত যাচ্ছে তার বয়স যেন কমছেই। তিনি বলিউডের সব থেকে নাটুকে নায়িকা হিসেবে পরিচিত। অন্তত তেমনই মনে করেন তার সমালোচক মহল।
অথচ মুখে আঁকিবুকি কেটে যাওয়া বলিরেখা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই করিনা কপুর খানের। বরং তিনি দাবি করলেন, ২৫-৩০ বছরে তিনি যেমন ছিলেন, এখন ৪৫ ছুঁইছুঁই বয়সে আরও বেশি ভালো।
সদ্য দেখা হয় প্রাক্তন প্রেমিক শাহিদ কপুরের সাথে। এ সময় অনুষ্ঠান মঞ্চে পরস্পর কথাও বলেছেন, হাসাহাসি করেছেন এবং জড়িয়েও ধরেছেন একে অপরকে। ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ সিনেমার পর সম্পর্ক ভেঙে তাদের।
সম্প্রতি, হলিউড অভিনেত্রী জিলিয়ন অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এক কথোপকথনে পাওয়া যায় করিনাকে। সেখানেই উঠে আসে তারকাদের ‘কসমেটিক সার্জারি’র প্রসঙ্গ। জিলিয়ন দাবি করেন, চলচ্চিত্র জগৎ তাদের বাধ্য করছে এ ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করতে।
তিনি বলেন, এমন বহু অভিনেতাকেই দেখা যাবে যাঁরা কোনও নির্দিষ্ট বয়সে নিজেদের চেহারাকে বেঁধে ফেলতে চেয়েছেন। তার জন্য আবার নানা রকম কথাও শুনতে হয়েছে।
এ বিষয়েই করিনা বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। আমি তো ওই বলিরেখাগুলো দেখতেই ভালোবাসি। আমার মনে হয় এতে আমাকে আরও আবেদনময়ী দেখতে লাগে। আমি তো এই মধ্য চল্লিশে এসে আরও বেশি সুখী মনে করি নিজেকে, অন্তত ২০-৩০ বছরে যেমন ছিলাম, তার চেয়ে। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে মেনে নিতে চাই। এখনও অতটা বয়স হয়ে যায়নি, আর আমি এখনও দুনিয়া কাঁপাতে পারি।’
গত বছরই করিনাকে দেখা গিয়েছে, ‘বাকিংহাম মার্ডারস’ এবং ‘সিংহম আগেন’ সিনেমায়। এরপর তাকে দেখা যাবে মেঘনা গুলজ়ারের ছবিতে। সে ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি।
এদিকে করিনা নিজেই জানিয়েছেন, বড় ব্যানারের দক্ষিণী ছবিতে কাজ করতে চলেছেন তিনি।