ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

হতবাক তানজিন তিশা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
অভিনেত্রী তানজিন তিশা

জুলাই ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী আল-আমিন। বিষয়টি ফেসবুকে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এক আবেগঘন বার্তায় জানান পাঁচ বছর ধরে তার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন শহিদ আল-আমিন। 

দীর্ঘ ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য জুলাই ছাত্র আন্দোলনে শহিদ আল-আমিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। কবর থেকে লাশ তোলার বিষয়টি নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীর। সহকারীর লাশ তোলার বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিশা। 

তিনি বলেন, ‘কবর থেকে মরদেহ ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি মোটেও সমর্থন করছি না। কে বা কারা লাশ ওঠানোর পেছনে জড়িত, চিন্তা করে হতবাক আমি!’

অভিনেত্রী ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আল-আমিন শুধুমাত্র সহকারী নয়, সে আমার ভাই। সে আমার সঙ্গে পাঁচটি বছর ছিল। ও নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়।’

তানজিন তিশা যোগ করে আরও বলেন, ‘মৃত্যুর সাত মাস পর মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা জানার পর, মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক।’

সবশেষে লিখেছেন আল-আমিনের লাশ উত্তোলনে হতবাক অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘এর পেছনে যে বা যারা জড়িত, তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে তা চিন্তা করে খুবই হতবাক আমি! ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’

এদিকে, আল-আমিনের মৃত্যুর খবর শোনার পর সাত মাস আগে প্রতিক্রিয়ায় তিশা জানিয়েছিলেন, আল-আমিন যেমন তানজিন তিশাকে নিয়ে ভাবতেন, তেমনি তিশারও তাকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিল। ফেসবুক পোস্টে সে কথাই তুলে ধরে লিখেছিলেন, ‘আল-আমিন সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। 

আমার কত পরিকল্পনা ছিল ওকে নিয়ে! ওকে ড্রাইভিং শেখাব! জোর করে বলতাম, পড়াশোনাটা নিয়মিত করতে, পরীক্ষাটা দিতে। কত বকা দিয়েছি, আবার একটু পর ঠিকই বোঝাতাম, আবার মন খারাপও করে থাকত।’