দক্ষিণী অভিনেত্রীদের নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল সবসময় তুঙ্গে। তাঁদের সৌন্দর্য, অভিনয় দক্ষতা এবং পর্দার উপস্থিতি বারবার মুগ্ধ করে দর্শকদের। কেউ হয়েছেন ‘জাতীয় ক্রাশ’, কেউ আবার নজর কেড়েছেন অভিনয়ের শক্তিতে। শুধু দক্ষিণী সিনেমাই নয়, এই অভিনেত্রীরা বলিউডেও নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন।
তবে এক সময় বলা হত, নায়িকাদের ক্যারিয়ার ৩০-এর পর ম্লান হয়ে যায়, যেখানে নায়কদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের সাউথ কুইনরা এই পুরনো ধারণা বদলে দিচ্ছেন। বয়সকে পিছনে ফেলে তারা দুর্দান্ত সব চরিত্রে কাজ করছেন এবং দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছেন।
জেনে নিন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের বয়স
অনুষ্কা শেট্টি (৪৩ বছর)
‘বাহুবলী’ খ্যাত অনুষ্কা শেট্টির সৌন্দর্যে মুগ্ধ অসংখ্য অনুরাগী। ১৯৮১ সালের ৭ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রীর ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা।
সামান্থা রুথ প্রভু (৩৭ বছর)
‘পুষ্পা’ সিনেমার ‘উ আন্তাভা’ গানে লাস্যময়ী নাচ হোক বা ‘ফ্যামিলি ম্যান ২’-এর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীর চরিত্র- সামান্থা সব চরিত্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল।
রশ্মিকা মন্দানা (২৮ বছর)
‘জাতীয় ক্রাশ’ খ্যাত রশ্মিকা মন্দানার হাসিতে কুপোকাত অসংখ্য অনুরাগী। ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী কম বয়সেই ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন।
তমন্না ভাটিয়া (৩৫ বছর)
বলিউড থেকে দক্ষিণী সিনেমা- সব জায়গায় সমানভাবে জনপ্রিয় তমন্না। ‘স্ত্রী ২’-এর ‘আজ কি রাত’ গানে তার উপস্থিতি ঝড় তুলেছে দর্শকমহলে। সদ্য বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় থাকা এই অভিনেত্রীর জন্ম ১৯৮৯ সালের ২১ ডিসেম্বর।
কীর্তি সুরেশ (৩২ বছর)
‘মহানতি’ সিনেমার জন্য প্রশংসিত কীর্তি সুরেশ এখন বলিউডেও কাজ করছেন। জন্ম ১৯৯২ সালের ১৭ অক্টোবর।
তৃষা কৃষ্ণন (৪১ বছর)
তামিল ও তেলুগু সিনেমায় তৃষা কৃষ্ণন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম। জন্ম ১৯৮৩ সালের ৪ মে। বয়সকে হার মানিয়ে এখনও সমান জনপ্রিয় তিনি।
নয়নতারা (৪০ বছর)
দক্ষিণী সিনেমার ‘লেডি সুপারস্টার’ তকমা পেয়েছেন নয়নতারা। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং স্ক্রিন প্রেজেন্স দর্শকদের মুগ্ধ করে। জন্ম ১৯৮৪ সালের ১৮ নভেম্বর।
নায়িকাদের জন্য বয়স বাধা নয়!
একসময় বলা হতো, নায়িকাদের ক্যারিয়ার ৩০-এর পরেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এই অভিনেত্রীরা প্রমাণ করছেন বয়স শুধুই সংখ্যা। তারা শুধু সিনেমায় নয়, গোটা ইন্ডাস্ট্রির চিন্তাভাবনাকেই বদলে দিচ্ছেন। নায়করা যেখানে ৫০-৬০ বছর বয়সেও হিট সিনেমা দিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে নায়িকারাও সমান তালে এগিয়ে চলেছেন।
পরের প্রজন্মের অভিনেত্রীদের জন্যও তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন- যোগ্যতা থাকলে বয়স কোনও বাধাই নয়!
আপনার মতামত লিখুন :