পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম চর্চিত সিনেমা ‘হেমলক সোসাইটি’র সিক্যুয়েল আসছে পহেলা বৈশাখে। সেই সিনেমাতে আনন্দ কর চরিত্রে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তার মাথায় ছিল কোঁকড়ানো চুল। কিন্তু ‘কিলবিল সোসাইটি’-তে কেন এমন ন্যাড়া আনন্দ?
পরিচালক সৃজিত খোলসা করলেন, ‘হেমলক সোসাইটি’-তে আনন্দ টার্মিনালি ইল ছিল। এখানে তার অসুস্থতা আরও বেড়েছে। চুল একদম পড়ে গেছে। আগের সিনেমার রেশ ধরেই আনন্দর চরিত্রটা এখানে এসেছে। মানুষ হিসাবেও তার পরিবর্তন ঘটেছে’। ‘হেমলক সোসাইটির’ ১৩ বছর পর এই চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, আগের সিনেমাতে মেঘনা চরিত্রে দেখা গিয়েছিল কোয়েল মল্লিককে। এই সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম সৃজিতের সিনেমাতে অভিনয় করলেন তিনি। সিনেমাতে তিনি পূর্ণা চরিত্রে। এক সময়ে লাগামছাড়া জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত পূর্ণা সাহসী। কিন্তু জীবনের কোনো মোড়ে তার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যায়, তা সিনেমার অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ। পূর্ণা কি ফিরে আসতে পারবে, উত্তর থাকবে সিনেমার শেষে। এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় থেকেই ন্যাড়া হয়েছেন পরমব্রত। সেই কারণে যেখানেই গিয়েছেন মাথায় টুপি বা পাগড়ির মতো কিছু পরেছেন। সকলে আঁচ করছিলেন, সিনেমার লুক এটা। সেই লুক এলো প্রকাশ্যে।
পরিচালক জানালেন, সিনেমাতে পরমব্রত-কৌশানীর দারুণ পারফর্মেন্সের পাশাপাশি জীবনের অন্যতম সেরা কাজটি করেছেন বিশ্বনাথ বসু। পেটকাটা শ মানে একজন ডনের চরিত্রে দেখা যাবে বিশ্বনাথকে। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাজ দেখেও দর্শকরা চমকে যেতে পারেন। সৃজিত-সন্দীপ্তা জুটির কাজ দেখার জন্যও অপেক্ষায় দর্শকরা।
‘হেমলক সোসাইটি’ সিনেমার প্রভাব মারাত্মক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথাও লেখা হয়, এই সিনেমা দেখে আত্মহত্যা করার ঝোঁকমুক্ত হয়েছেন কিছু মানুষ। সেখানে ‘কিলবিল সোসাইটি’ কী মাপের ধাক্কা দেবে, তার দিকে তাকিয়ে সিনেমাপ্রেমীরা।
আপনার মতামত লিখুন :