সুনিপুণ নির্মাতা নাজনীন হাসান খান। নিয়মিত একক ও ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করছেন। এবার তিনি নির্মাণ করলেন ‘দারোগা বউ জামাই আসামি’ শিরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী গল্পভিত্তিক একটি নাটক। এটি চিত্রনাট্য ও সংলাপ দিয়েছেন প্রথিতযশা নাট্যকার রাজীব মণি দাস।
নাটকে দারোগা ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। দারোগার স্বামী চরিত্রে রয়েছেন আখম হাসান। আরও অভিনয় করেছেন রেশমা আহমেদ, কাজী রাজু, ফরিদ হোসাইন, রিকি, মিহিরা মিহি প্রমুখ।
পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষের পাশাপাশি সংসারে স্ত্রীরাও যে অবদান রাখতে পারে এবং সেই অবদানের সঠিক মূল্যায়ন না পাওয়া, কথায় কথায় স্ত্রীদের অযোগ্যতা, দায়িত্বহীনতাকে তুলে ধরে তুলোধুনো করা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দারোগা বউ গল্পের পুষ্পিতা চরিত্র।’
নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘পুষ্পিতা যে চাকরি করে, কার জন্য করে, সংসারের জন্যই তো। তাহলে সে যে দিন-রাত পরিশ্রম করে বাসায় এসে উল্টো স্বামীর বাগবিতণ্ডার শিকার হচ্ছে, কর্মের অবমূল্যায়ন পাচ্ছে, সে সেটা মেনে নিতে পারে না। অথচ একই কাজ স্বামী করলে ঠিকই তার মূল্যায়ন ঠিকই পাইতো। এ পার্থক্যটাই গল্পের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে স্থান পেয়েছে। আশা করি, দর্শকের ভালো লাগবে।’
গল্পে দেখা যাবে, স্ত্রী দারোগা বলে স্বামী অবহেলিত। স্ত্রীর দাপুটে সে কোনো কথাই বলতে পারে না। আদৌতে ডিউটির কারণে স্ত্রী পুষ্পিতা সবসময় থাকে ব্যস্ত। দিন নাই রাত নাই যখন-তখন ডিউটিতে যাওয়া লাগে। স্বামীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে। রানা মন খারাপ করে নদীর দ্বারে বসে থাকে। মায়ের কাছে নালিশ দিয়েও কোনো সমাধান পায় না রানা। উল্টো মা বুঝানোর চেষ্টা করে, বউ-মা যা করছে তা তো এ সংসারের জন্যই করছে।
মনের দুঃখে গ্রাম ছেড়েই চলে যেতে মন চায় তার। শত্রুপক্ষ প্রতিশোধ নিতে রানাকে ফাঁসিয়ে দেয়। এক সকালে নদীর পাড়ে এক বাচ্চার লাশ পড়ে থাকতে দেখে রানা এগিয়ে গিয়ে তুলে নেয়। হাতেনাতে ধরা পড়ে গ্রামবাসীর হাতে।
দারোগা স্ত্রীর কাছ থেকে রক্ষা পায় না রানা। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় আপন স্বামীকে। এমনই এক বাস্তবভিত্তিক গল্প দেখতে পাবে দর্শক। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, আসছে ঈদুল ফিতরের বিশেষ আয়োজনে নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে।