‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় কাজ করার কারণে কয়েকজন অভিনয় শিল্পীকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এদেরই একজন নুসরাত ফারিয়া।
শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করার পর সমালোচনার শিকার এই অভিনেত্রী প্রথমবারের মত মুখ খুলেছেন।
ফারিয়া জানান, একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কোন কাজের প্রস্তাব আসলে তা নিজের ততটা পছন্দ না হলেও মানা করা যায় না।
তিনি বলেন, ‘এই সিনেমার জন্য আমি যে পরিস্থিতি পার করেছি বা এখনো করছি তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিলো বলেই মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা আমার ছিলো না।’
দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের পর আওয়ামীপন্থী তারকারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেসব তথ্য।
সমালোচনার শিকার নুসরাত ফারিয়াকে একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন?
ফারিয়া ইংরেজিতে যা বলেন তার বাংলা দাঁড়ায়, ‘আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই। আমরা শিল্পীরা সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম যায়। স্পেশ্যাল এই সিনেমার (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল- এই ৫ বছর আমি একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি। চুলে কোন রঙ করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি এই চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। মোট কথা, আমি বলতে চাই এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫টি বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটিকে নিয়ে যদি অনুশোচনা করি তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।’
ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় সেই পডকাস্টে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তখন কানাডাতে ছিলাম। ভুল সবসময়ই ভুল।
তাই তখন আমি ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট করেছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে সেটা দেখতে পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :