বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

এ যেন ঘরমুখো মানুষের ‘থিম সং’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

এ যেন ঘরমুখো মানুষের ‘থিম সং’

ছবি: সংগৃহীত

‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রকাশের ১৬ বছর পর আজও গানটির আবেদন রয়েছে। এবার ঈদের ছুটিতেও ঘরমুখো মানুষের মাঝে গানটি নিয়ে চর্চা চলছে, যাত্রাপথের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে অনেকেই লিখছেন, ‍‍`স্বপ্ন যাবে বাড়ি‍‍` বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’থেকে দেশের মানুষের ঘরে ফেরার ‘থিম সং’–এ পরিণত হয়েছে  গানটি।

২০০৯ সালের দিকে গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনের জন্য এ গানের সুর বাঁধেন হাবিব ওয়াহিদ, সংগীতায়োজনও তাঁর। গ্রামীণফোনের তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মেহজাবীনের কথায় গানটি কণ্ঠে তোলেন শিল্পী মিলন মাহমুদ। বিজ্ঞাপনচিত্রটি টেলিভিশনে প্রচারের পরপরই দর্শকমহলে সাড়া ফেলে। অল্প সময়ের ব্যবধানে গানটি দর্শকের হৃদয় থেকে হৃদয়ে গেঁথে যায়।

কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রের ‘থিম সং’ আলাদাভাবে গান হিসেবে পরিচিত পাওয়ার নজির নেই বললেই চলে। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ প্রকাশের ১৬ বছর পর আজও গানটির আবেদন রয়েছে। গানটির কথা, সুরের মায়াজালে ঘরে ফেরার আকুলি–বিকুলি উঠে এসেছে। এবার ঈদের ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের মধ্যে গানটি নিয়ে চর্চা চলছে, যাত্রাপথের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে অনেকেই লিখছেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’। কেউ কেউ গানটি শেয়ার করে গানটি ঘিরে নিজের অনুভূতির কথা লিখছেন।

শিল্পী মিলন মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনেক ভালো লাগার। একটা গান যুগ যুগ ধরে টিকে আছে, এটা অনেক আনন্দের বিষয়। গানের অংশ হিসেবে আমি শ্রোতাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরোও বলেন , ‘প্রচারের প্রথম তিন দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম, গানটা খুব হিট করছে। সেই সময় এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম, দেখলাম বাচ্চারা দুষ্টুমি করছে। এর মধ্যে বিজ্ঞাপনটা শুরু হতেই দুষ্টুমি থামিয়ে ওরা গানের প্রতি মনোযোগ দিল। সেটা দেখেই ভেবেছিলাম, এটা হিট করবে।’

উল্লেখ্য, গানটি তখন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল; মিলন মাহমুদ কোনো লাইভ শোতে গেলেই দর্শকেরা ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ বলে চিৎকার করতেন। গানটি না গেয়ে স্টেজ ছাড়তে পারতেন না তিনি। ২০১৩ সালে প্রকাশিত মিলন মাহমুদের ‘গোপনে’ অ্যালবামে রাখা হয় আলোচিত গানটি।

আরবি/এসবি

Link copied!