নব্বইয়ের দশকের প্রথমদিকে সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিংহ বিয়ে করেন। ১৩ বছর এক ছাদের তলায় থাকার পরও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
তাদের প্রেমকাহিনি সিনেমার চেয়ে কোনও অংশে কম ছিল না। তাদের দুই সন্তান, সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান।
বিচ্ছেদের ৮ বছর পর কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। সাইফ-করিনার দুই পুত্রসন্তান, তৈমুর ও জেহ্। সারা জীবন নিজের তুলনায় বেশি বয়সি মহিলাদের প্রেমে পড়েছেন বলেই গুঞ্জন সাইফকে নিয়ে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ততটা পোক্ত ছিলেন না বলেই অমৃতার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যায় তার।
যদিও করিনার সঙ্গে সুখেই সংসার করছেন অভিনেতা। এক বার বিবাহবিচ্ছেদেই শিক্ষা হয়ে গিয়েছে শর্মিলা-পুত্রের।
সাইফ এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানান, পাঁচ কোটি টাকার চুক্তিতে অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। বিচ্ছেদের পরেই আড়াই কোটি টাকা অমৃতার হাতে তুলে দেন তিনি।
তার পর থেকে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার চুক্তি হয়। যত দিন না পর্যন্ত সারা এবং ইব্রাহিম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন তত দিন সাইফকে প্রতি মাসে সমপরিমাণ টাকা দিয়ে যেতে হবে বলে চুক্তি হয়। সাইফের দাবি, সম্পর্কে থাকাকালীন উপার্জন নিয়ে রোজ অমৃতার কটাক্ষের শিকার হতেন তিনি।
এমনকি, বিচ্ছেদের পর নাকি সারা এবং ইব্রাহিমের সঙ্গে সাইফকে দেখাও করতে দিতেন না অমৃতা। সেই কারণে অভিনেতার উপলব্ধি প্রেম, বিয়ে সবই বুঝে করা উচিত। কারণ একটা মানুষ বার বার বিয়ে ভাঙতে পারেন না।
সাইফের কথায়, ‘আমি জানি মানুষ একটা পর্যায়ে গিয়ে কোনও একটা বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে না। কিন্তু আপনি বিবাহবিচ্ছেদ চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রাখতে পারবেন না। কারন, এর জন্য অনেক টাকা খরচ হয়। তাই, একটা সময় পর সবটাই মানিয়ে নিতে হয়।’