২০১৫ সালে বলিউড ‘মণিকর্ণিকা’ খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এবং হৃতিক রোশনের মধ্যে ই-মেইল বিতর্ক রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। প্রথমে এই বিতর্ক অনেকটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন বলেই মনে হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা রূপ নেয় আইনি লড়াইয়ে ।
কঙ্গনা অভিযোগ করেন, হৃতিক নাকি তাকে ভুল প্রেমের ফাঁদে ফেলে মনের খেলা খেলেছেন। এরপর তো ই-মেইল কাণ্ড! কঙ্গনার দাবি—হৃতিক তাকে আপত্তিকর ছবি পাঠাতেন ও এমন ছবি চাইতেন। হৃতিক অবশ্য এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আইনি পদক্ষেপ নেন।
কঙ্গনা প্রকাশ্যে দাবি করেন, হৃতিক নাকি তাকে প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারিত করেছিলেন।
অভিনেত্রী জানান, অভিনেতার তার কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি পাঠাতেন এবং একই ধরনের ছবি চেয়েছিলেন তার কাছ থেকেও।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে হৃতিক রোশন আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তার তরফে আইনজীবীরা কঙ্গনার দাবিকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে দাবি করেন। সেই সময় তাদের মধ্যে একের পর এক নোটিশ, পালটা নোটিশ ঘুরতে থাকে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের গণ্ডি ছাড়িয়ে এই ঘটনাকে ঘিরে মিডিয়ায় তৈরি হয় প্রবল চর্চা।
তবে হৃতিক আইনি সাহায্য নেওয়ার পর কঙ্গনা কিছুটা চাপে পড়লেও, তার ঠোঁটকাটা স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং সময় যত গড়িয়েছে, কঙ্গনা তত বেশি করে নিজের অবস্থানকে জোরালো করেছেন। যেকোনো প্ল্যাটফর্মে হৃতিকের প্রসঙ্গ উঠলেই, কঙ্গনা সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। আবার হৃতিকের কোনো ছবি মুক্তি পেলেই, কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নেগেটিভ পাবলিসিটি করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :