ঢাকা শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

‘ভিন্নধর্মী গল্পে কাজের ইচ্ছে’

এম তারেক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
সায়রা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে তানিম রহমান অংশুর ওয়েব ফিকশনখালিদ বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন মডেল অভিনেত্রী সায়রা আক্তার জাহান। আকবর হায়দার মুন্নার ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলের ফিকশনে গ্ল্যামারাস অভিনেত্রীকে দেখা গেছে বিশেষ গানের মডেল রূপে। যেখানে গ্ল্যামারাস লুকে হাজির হয়েছেন সায়রা।

আসো নাশীর্ষক গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবন। গেয়েছেন শাফাত শামস আয়েশা মৌসুমি। র‌্যাপে অংশে ছিল জেডি৪৭। গানটির অভিজ্ঞতা জানালেন সায়রা। দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিশেষ গানটি নিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাকে এভাবে দেখে প্রশংসা করেছে অনেকে। স্কিল অনুযায়ী পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাওয়াও দারুণ ব্যাপার। রোজার মধ্যে মাত্র দুই দিনের মধ্যে শুটিং করেছি। রিহার্সেলের জন্য মাত্র কয়েক ঘণ্টা সুযোগ ছিল। সেট সুন্দর ছিল। আমার লুক আলাদা ছিল। ঈগল ড্যান্স কোম্প্যানির জন্যই মূলত দ্রুত কাজটি তুলতে পেরেছি। পলাশ ভাইয়াও অনেক সহযোগিতা করেছেন।

সায়রা যোগ করে বললেন, ‘আমি বিশেষ করে বলতে চাই নির্মাতা তানিম রহমান অংশুর কথা। তিনি আমার উপর আস্থা রেখেছেন। এমন একটি চরিত্রে আমাকে ভেবেছেন।খালিদ শুটিংয়েই আরও কয়েকটি কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। আমি অংশু ভাইয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরেছেন তিনি।

খালিদদর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তরতর করে ভিউ বাড়ছে। সায়রার ভাষ্য, ‘খালিদ ভালো একটি কাজ হয়েছে। পলাশ ভাইকে এভাবে দেখবো ভাবিনি। চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে।

এদিকে, আসছে ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে সায়রা অভিনীত রাইসুল ইসলাম অনিকেরআমাকে বিশ্বাস করেন ভাই সিনেমা প্রসঙ্গে সায়রা বলেন, ‘সিনেমাটির সব সিন এক টেকে নেওয়া হয়েছে। ভিন্নধর্মী কাজ। আমার সহশিল্পী উজ্জ্বল কবির হিমু।

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সায়রা বলেন, ‘আমি এখন থেকে কাজের মধ্যে থাকব। নয়টাপাঁচটা চাকরি আর করছি না। গল্প, সহশিল্পী আর পরিচালক ভালো হলে যে কোনও মাধ্যমে কাজ করব। একই ধরনের গল্প দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যায় দর্শক। তাই ভিন্নধর্মী গল্পে কাজের ইচ্ছে আছে।’

প্রসঙ্গত, মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন সায়রা। তিনি কাজ করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক সিনেমায়। তার প্রথম সিনেমা প্রসূন রহমানেরজন্মভূমি সিনেমাটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পায় এবং জাতিসংঘের সদরদপ্তরে প্রদর্শিত হয়।