ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির নাম যেন বিতর্ক ছাড়া চলে না। একের পর এক ইস্যুতে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি, তখনই নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া দুটি স্ট্যাটাসে নতুন করে আগুনে ঘি ঢাললেন।
দু’দিন আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমনি লেখেন, ‘তোমার মা, মা আর বাকিসব খা...নকি।’ ঠিক পরদিনই আরেকটি পোস্ট দেন—‘ব্ল্যাকমেইলার’।
কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ ভাষা ব্যবহার করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে এ পোস্ট দুটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা।
এর আগেই নেত্রকোনার পিংকি আক্তার নামের এক গৃহকর্মী পরীমনির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। তাঁর ভাষ্য, পরীমনির দত্তক কন্যাকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে এ নির্যাতন চালানো হয়। ২ এপ্রিল ভাটারা থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দেন, যার প্রেক্ষিতে আদালত পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি দাবি করেন, পিংকি তাঁর গৃহকর্মী নন এবং তিনি ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ শিকার। এ ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া যেমন মিশ্র, তেমনি মুখ খোলেন শিল্পী ন্যান্সিসহ বেশ কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
বিষয়টি তখন আরও জটিল হয়ে পড়ে, যখন পরীমনির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তরুণ গায়ক শেখ সাদী আদালতে তাঁর জামিনদার হন। এরপর থেকেই দু’জনকে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেতে থাকে। ভিডিও সাক্ষাৎকারে গৃহকর্মী পিংকি দাবি করেন, শেখ সাদী প্রায়ই পরীমনির বাসায় আসেন এবং তাঁরা একই বিছানায় থাকেন।
এ বিষয়ে সাদী একটি ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘এটা পরিষ্কার যে উক্ত ঘটনার মূল উদ্দেশ্য পরীকে হেয় করা।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সত্য জানার আগেই মিডিয়ার কিছু ক্ষোভ বা বানোয়াট গল্পকে আপনি সত্য ধরে নিয়ে পরীকে বুলিং করছেন।’
এসব বিতর্কের মধ্যেই আসে পরীমনির ওই দুই স্ট্যাটাস। কেউ বলছেন, স্ট্যাটাস দুটি পিংকি বা তার পেছনে থাকা কারো উদ্দেশে—আবার কারো মতে, ইঙ্গিতটি সাদীর দিকেও হতে পারে।
তবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরীমনির জীবনের ‘নাটকীয়তা’ যেন দিন দিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে—এ বিতর্ক কোথায় গিয়ে থামবে? নাকি আরও নতুন কোনো ‘চমক’ অপেক্ষা করছে ঢালিউডের ‘বিতর্করানি’র খাতায়?