বলিউডের গসিপ দুনিয়ায় ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। সদ্য মা কিম ফার্নান্ডেজকে হারিয়ে শোকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যেই তাঁকে দেখা গেল ইলন মাস্কের মা মে মাস্কের সঙ্গে মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে। সাদা ও সোনালি পোশাকে দুই মহিলার উপস্থিতি যেন এক অন্য রকম ছবি, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
মে মাস্কের সঙ্গে পুজোর অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জ্যাকলিন বলেন, ‘মন্দিরে মে-র সঙ্গে পুজো দেওয়া এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ওঁর বই ‘এ ওম্যান মেকস এ প্ল্যান’ নারীর দৃঢ়তার প্রতীক। ওঁর ব্যবহার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ওঁকে দেখে মনে হয়েছে বয়স কেবল একটি সংখ্যামাত্র। বয়স কখনও কারও স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে না।’
তবে এই সফরের পেছনে কি শুধুই আধ্যাত্মিকতা? না কি এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও কিছু? বলিপাড়ায় জল্পনা শুরু হয়েছে জ্যাকলিনের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে বাহরাইনের প্রিন্স শেখ হাসান বিন রশিদ আল খলিফার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান জ্যাকলিন। দুই বছর চলা এই সম্পর্ক শেষ হয় ২০১১ সালে। জানা যায়, বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার তাগিদে ও সেই সময় পরিচালক সাজিদ খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় এই সম্পর্ক ভেঙে যায়।
পরবর্তীতে সাজিদ খানের সঙ্গেই প্রেমে মেতে উঠেছিলেন জ্যাকলিন। প্রায় তিন বছর চলা এই সম্পর্কও ভেঙে যায় ২০১৩ সালে। এক সাক্ষাৎকারে সাজিদ নিজেই বলেন, ‘সম্পর্কের শেষের দিকে ঝামেলা শুরু হয়। যখন জীবনে কোনও নারী থাকে না, তখন কাজ আরও ভালো হয়।’
এরপরেই জ্যাকলিনের জীবনে আসে বিতর্কিত নাম—সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় মূল অভিযুক্ত এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে জ্যাকলিনের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এমনকি শোনা গিয়েছিল, সুকেশের ভুলগুলো উপেক্ষা করেই তাঁর সঙ্গে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন জ্যাকলিন।
বর্তমানে জেলে থাকা সুকেশ নিয়মিত চিঠি লিখে যাচ্ছেন জ্যাকলিনকে। এক চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘২০২৫ সাল হবে আমাদের ভালোবাসার প্রমাণের বছর।’
সম্প্রতি সুকেশ ইলন মাস্কের সংস্থা ‘এক্স’-এ ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করে খোলা চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘হ্যালো ইলন, গর্ব করে বলছি, আমি অবিলম্বে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চাই আপনার সংস্থা ‘এক্স’-এ। পরের বছর আরও এক বিলিয়ন বিনিয়োগ করতে চাই। মোট ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চাই।’ পাশাপাশি ইলনের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, ‘ইলন, আপনি এমন একজন, যাঁর দ্বারা আমি সত্যিই অনুপ্রাণিত। আপনি দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যা যা অর্জন করেছেন এবং তৈরি করেছেন, তা অসাধারণ। আপনার কাজের জগতের সামান্য অংশে যোগ দিতে পারলে আমার কাছে তার চেয়ে বড় কিছু হবে না।’
তবে এই চিঠির কোনও জবাব ইলনের পক্ষ থেকে এখনও আসেনি।
এর মধ্যেই ইলনের মা মে মাস্কের সঙ্গে জ্যাকলিনের এই ঘনিষ্ঠতা এবং মন্দির দর্শন বলিপাড়ায় নতুন এক গসিপের জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, সুকেশের ইচ্ছাপত্রের পর এবার কি জ্যাকলিন মাস্ক পরিবারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন? না কি শুধুই বন্ধুত্ব? উত্তর আপাতত সময়ের হাতে।