দীর্ঘদিন ধরেই যিনি ছিলেন সড়ক নিরাপত্তার সংগ্রামী কণ্ঠ, তিনিই এবার সরাসরি নামছেন রাজনীতির মাঠে। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।
তার নেতৃত্বেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামের এ দল। আগামী ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে এ নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেবেন তিনি।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে ইলিয়াস কাঞ্চনের ভূমিকা বাংলাদেশের সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ১৯৯৩ সালে স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি ‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’ আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তোলেন একটি কার্যকর সামাজিক শক্তি।
এরপর থেকে তার নামটি শুধু রুপালি পর্দায় নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তার কণ্ঠ হিসেবেও উচ্চারিত হতে থাকে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম, কেবল আন্দোলন করে অনেক দূর যাওয়া যায় না। এবার সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তাই জনগণের কথা বলার জন্যই আমি রাজনীতিতে আসছি।’ নতুন দলের নাম ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ বলেও জানান তিনি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে নিসচার ভাইস চেয়ারম্যান লিটন আরশাদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দলটি গঠনের প্রস্তুতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। কাঞ্চন ভাই চান, দেশের মানুষ যেন সত্যিকারের গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা পায়।’
চিত্রনায়ক থেকে রাজনীতিক—ইলিয়াস কাঞ্চনের এই রূপান্তর নিঃসন্দেহে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন সংযোজন। কয়েক মাস ধরেই দেশে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব ঘটছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো এক ‘নায়ক’। তবে এ নায়ক শুধুই পর্দার নয়—তিনি মানুষের জীবন, নিরাপত্তা ও অধিকারের পক্ষে সোচ্চার এক বাস্তব জীবনের চরিত্র।
২৫ এপ্রিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই রাজনীতির নতুন মঞ্চে কাঞ্চনের প্রথম বল কেমন গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো দেশ।