কিছুতেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন এ নায়িকা। তার বিতর্কের শুরুটা প্রেম দিয়ে।
১০ বছরের ক্যারিয়ারে কাজ দিয়ে সেভাবে আলোচনায় না আসতে পারলেও ব্যক্তিগত খবরে বছরজুড়েই আলোচনায় থাকেন তিনি। পরীমণি প্রথম আইনি বিপাকে জড়ান আলোচিত বোর্ড ক্লাব ইস্যুতে। এরপর থেকে আদালতের বারান্দা কিছুতেই তার পিছু ছাড়ছে না।
সম্প্রতি গৃহকর্মী পিংকি আক্তারের অভিযোগে ফের আইনি জটিলতায় নাম লেখান নায়িকা। পরীমণির বিরুদ্ধে প্রথমে ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন গৃহকর্মী পিংকি। অভিযোগের সুরাহা না মেলায় পরবর্তীকালে সরাসরি আদালতে গিয়ে মামলা করেন তিনি।
মেকআপ রুম থেকে মাদক সেবন করে এসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে পরীমণির নামে মামলা হয়। গত ২২ এপ্রিল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমীন আক্তারের আদালতে গৃহকর্মী পিংকি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
তার ঠিক একদিন পর মানহানিকর ও কুৎসা রটনার অভিযোগে ওই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পালটা মামলা করেছেন পরীমণি।
গৃহকর্মী ছাড়াও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সব খবরের স্বত্বাধিকারী মোরশেদ সুমন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ এন্টারটেইনমেন্ট, নিউজ অ্যান্ড মিডিয়া ওয়েব সাইট পিপল নিউজ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিজিটাল খবরকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক নুরে আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পরীমণি। আদালত নায়িকার জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নেন। তদন্ত করে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ভাটারা থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
তবে, মাদক সেবন করে মারধরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানিয়েছেন পরীমণি। তিনি বলেন, ‘আমি যদি মাদক সেবন করে মারধর করি, তাহলে তার প্রমাণ দিতে হবে। শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে যা-তা বলা হচ্ছে। সীমা অতিক্রম করায় মামলা করতে বাধ্য হই। এখন আইনিভাবে বিষয়টি মেকাবিলা করব।’
বলা দরকার, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
মামলাটি ঢাকার আদালতে বিচারাধীন। পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা আরও একটি মামলার বিচার চলছে। অন্যদিকে, পরীমণির করা একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা বিচারাধীন।