বাংলা সিনেমার স্বর্ণালী সময়ের চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত ১৫ দিন ধরে জ্বর ভুগছিলেন তিনি। এরপর শরীর দুর্বল হতে থাকে। তাৎক্ষনিক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত চারদিন ধরে অভিনেত্রী সিসিইউতে রয়েছেন। আরও তিন দিন থাকার পর কেবিনে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও এক সপ্তাহের বেশি হাসপাতালে থাকতে হবে। ডেঙ্গু নেগেটিভ থাকলেও অঞ্জনার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। মেডিসিন ও নিউরো প্রফেসর শাহরুখ আহমেদ ও সিনিয়র কনসালটেন্ট আবু মোহাম্মদ শফিক অভিনেত্রীর চিকিৎসা করছেন।
অঞ্জনা একাধারে অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের এই নায়িকা দীর্ঘদিন থেকেই পর্দার আড়ালে। সিনেমায় কাজ না করলেও তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
অঞ্জনা তার অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি কাজ শুরু করলেও তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিটি ছিল ‘দস্যু বনহুর’। শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত এ সিনেমাটি ১৯৭৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়।
যৌথ প্রযোজনার সুবাদে বাংলাদেশের বাইরে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, তুরস্কের সিনেমাতেও ছিল বিশাল পরিচিতি। সেখানকার জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গে করেছেন তিনি।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা হলো মাটির মায়া (খান আতাউর রহমান), অশিক্ষিত (আজিজুর রহমান), চোখের মণি ও সুখের সংসার (নারায়ণ ঘোষ মিতা), জিঞ্জির, অংশীদার ও আনারকলি (দিলীপ বিশ্বাস), বিচারপতি (গাজী মাজহারুল আনোয়ার), আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ (শফি বিক্রমপুরী), অভিযান (নায়করাজ রাজ্জাক), মহান ও রাজার রাজা (আলমগীর কুমকুম), বিস্ফোরণ (এফ আই মানিক), ফুলেশ্বরী (আজিজুর রহমান), রাম রহিম জন (সত্য সাহা), নাগিনা (মতিউর রহমান বাদল), পরীণিতা (আলমগীর কবির) প্রভৃতি।
আপনার মতামত লিখুন :