এ প্রজন্মের মডেল-অভিনেত্রী আয়শা মারজানা। মডেলিং দিয়ে ২০১৫ ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই শোবিজের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। এ পর্যন্ত মডেল হয়েছেন বিভিন্ন ব্যান্ডের ডজন খানেক বিজ্ঞাপনচিত্রে। সম্প্রতি তিনি হাতিলের শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন। আগামী এক বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন প্রচারণায় অংশ নেবেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি ফার্নিচারের বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে। এরই মধ্যে বিজ্ঞাপনটি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচার শুরু হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন ‘হাওয়া’খ্যাত নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন। এছাড়া বর্তমানে প্যারাসুট এডভান্স হেয়ার অয়েল, এসিআই পিওর সল্ট, ফ্রুটফিল বিজ্ঞাপন বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে। প্রচারের অপেক্ষায় আছে সিটি ব্যাংক, ডেটল ও নাসির গ্লাসের বিজ্ঞাপন তিনটি।
এ প্রসঙ্গে আয়শা মারজানা রূপালী বাংলাদেশ-কে বলেন, ‘করোনার সময় সিদ্ধান্ত নেই অভিনয়ে নাম লেখাবো। এরপর যুক্ত হই প্রাচ্যনাট থিয়েটারে। প্রথম কাজ করি গানচিত্রে। তবে বিজ্ঞাপনে কাজ করে পরিচিতি পাই। এরপর বেছে বেছে কাজ করছি।’
ক্যারিয়ারে আট বছর অতিক্রম করলেও কাজের সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে আয়শা মারজানা। এ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘সবসময় কাজের মানকে প্রাধান্য দিয়েছি। সংখ্যায় নয়, মানে বিশ্বাসী। যার কারণে কাজের প্রস্তাব থাকলেও সব ধরনের কাজ করিনি।’
মডেল নয়, নিজেকে শিল্পী পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এই অভিনেত্রী। বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে একজন শিল্পী। শিল্পটাকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছি। একজন মডেল পিলারের মতো দাঁড়িয়ে থেকে সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলে। কিন্তু একজন শিল্পী নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরে। তিনি যা নন তা ফুটিয়ে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। মডেলের কোনো খুত নেই। কিন্তু একজন শিল্পীর হাজারও খুত আছে। তবে শিল্পী যে চরিত্রেই অভিনয় করে না কেন শিল্পটাকে ফুটিয়ে তুলে। একজন দক্ষ অভিনেত্রী হতে নিরলশভাবে কাজ করছি।’
এ সময়ের তরুণ অভিনয়শিল্পীরা টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী থাকলেও এই অভিনেত্রী একেবারে ব্যতিক্রম লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছেন। স্রোতের জলে গা না ভাসিয়ে বিপরীতে হাঁটছেন চান তিনি। তার চিন্তা চেতনায় বাংলাদেশের একজন গুণী মঞ্চ শিল্পী হওয়া। বর্তমানে মঞ্চ অবহেলিত হলেও তার দুর্বলতা এখানেই।
আপনার মতামত লিখুন :