‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ নামের চ্যারিটি কনসার্টে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন পাকিস্তানের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান। মূলত জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য আয়োজন করা হয়েছিল এ কনসার্টটির। গত শনিবারের এ আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের উল্লাস ছিল দেখার মতো।
এই পারফর্মেন্স এর একদিন পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন রাহাত ফাতেহ আলী খান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বাড়ি মনে করেন পাকিস্তানি এই শিল্পী।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রসঙ্গে এই শিল্পী বলেন, ‘শুরু থেকেই বাংলা গান আমার মনকে প্রভাবিত করেছে, আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি এখন অনেকটাই পরিচিতি পেয়েছে। যদিও পুরনো মানুষ আমরা, তারপরও অনেক উপভোগ করি, ভালো লাগে।’
দেশের খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাহাত ফাতেহ আলী খান। এই শিল্পীর কথায়, ‘রুনা লায়লা একজন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই দেশেরই কিংবদন্তী শিল্পী। আমি ওনাকে খুব সম্মান করি, বহু কদর করি; এবং তিনি একজন কিংবদন্তি বটে, একজন জ্যেষ্ঠ শিল্পী। আমি বাংলাদেশি একটি গান করেছিলাম, আর সে সময় রুনা লায়লা সাহেবানা আমার বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ করতে সাহায্য করেছিলেন।’
বাংলাদেশের শ্রোতাদের প্রসঙ্গে রাহাত ফাতেহ আলী খান বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রোতাদের বেসিক ও সংস্কৃতিটা মূলত ক্ল্যাসিকাল ধাঁচের। আমার এখানে গান খেয়ে খুব ভালো লেগেছে। আমাদের ওখানেও যেভাবে ক্ল্যাসিকাল গান গুলো, বা সিনেমার বাইরের গানগুলো যেভাবে গ্রহণ করা হয়, যেভাবে শ্রোতারা নেয়; বাংলাদেশও এমনই।’
বাংলাদেশকে যে এই পাকিস্তানি শিল্পী কতটা ভালোবাসেন, তা অনুমেয় রাহাত ফাতেহ আলী খানের এই দুটি কথায়। তাই তো মন খুলে অকপটে বলেই দিলেন, ‘বাংলাদেশে আমার ভাই-বোনেরা বাস করে। তাই আমি এটাকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি মনে করছি।’
এদিকে, আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল মিউজিক ফেস্টে পারফর্ম করার কথা রয়েছে রাহাত ফাতেহ আলীর। সেখানে মূল আকর্ষণ হিসেবেই থাকবেন জনপ্রিয় এই সংগীতজ্ঞ।
আপনার মতামত লিখুন :