চলতি সময়ের বিতর্কিত উঠতি অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান, নির্মাতা ও চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিকে বয়কট করল বিনোদন বিটের সকল সাংবাদিকরা। রোববার (০৩ নভেম্বর) রাতে বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা একত্র হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এসময় সাংবাদিকরা অভিযোগ এনে জানান, একজনের ক্যারিয়ার দুই যুগেরও বেশি সময়ের। অন্যজনের মাত্র বছর পাঁচ। আমাদের সহকর্মী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা দুঃখজনক। তারপরও বিষয়টি সুস্থ সমাধনের আশ্বাস আসলেও একটা পর্যায়ে সময় কালক্ষেপণ করে। পুরো ঘটনায় খল-নায়কের ভূমিকায় চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি। কাণ্ড ঘটিয়ে তিনি দায়িত্ব নিলেও পরবর্তীতে তার আর সাড়া না পাওয়ায় আমরা সকল বিনোদন সাংবাদিকরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
বলা দরকার, সাদিয়া আয়মান দেশের শীর্ষ একটি পত্রিকার একজন জ্যেষ্ঠ বিনোদন সাংবাদিকের নামে রীতিমতো মিথ্যাচার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। ঘটিয়েছেন চূড়ান্ত মানহানি। এমনকি সেই সাংবাদিকের প্রতিষ্ঠানেও অভিযোগ দিয়েছেন। অফিস ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই খবরও তিনি তার পাবলিক পোস্টে অবহিত করেছেন পুরো জাতিকে! সাদিয়ার পক্ষ থেকে ঘটা এমন বিস্ফোরক কাণ্ডে বিস্মিত হয়েছে শিল্পী থেকে সাংবাদিক প্রায় সবাই। কারণ যে সাংবাদিকের নামে তিনি যে অভিযোগটি তুলেছেন, সেটির কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি বেশিরভাগ মিডিয়াকর্মী।
মাত্র ৫ বছর অভিনয় জীবনের অভিনেত্রী ৩০ বছরের ক্যারিয়ারসমৃদ্ধ একজন সাংবাদিকের নামে এভাবে প্রকাশ্যে কুৎসা রটাতে পারেন কিনা, প্রশ্ন উঠেছে সেটিও। এতে বিতর্কটি ছড়িয়ে সাদিয়া নিজে যতটুকু পরিচিতি নিয়েছেন, তারও বেশি ধিক্কৃত হচ্ছেন এখন।
অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, মাইক্রোফোন ঠিক করার সময় অনুমতি ছাড়া গোপনে তার ভিডিও ধারণ করেছেন ওই সাংবাদিক! এরপর তার অনুরোধে ভিডিওটি ফেসবুক থেকে মুছেও ফেলেছেন সেই সাংবাদিক। তবে তার আগেই ভিডিওটি কপি করে নিজ নিজ দেয়ালে প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাই নয়, ভিডিওটিকে আপত্তিকরভাবে তুলে ধরেছেন অনেক নেটিজেন কিংবা সাদিয়া-ভক্তরা! তবে গোপনে ভিডিও করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সত্যতা পুরো ভিডিওতে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাইনি।
আপনার মতামত লিখুন :