সৃজনশীল পরিচালক (ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর) হিসাবে তিনি একশোয় একশো, মত সহকর্মীদের। ২০২৪-এর বড়দিন তাই তার জীবনে যেন আরও বড়। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন আর তার জন্মের তারিখ একই। এমন দিনে তাকে নতুন রূপ দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। ‘খাদান’ সিনেমা দিয়ে দেব অধিকারীর মুকুটে আরও একটি পালক। তিনি এ সিনেমার সৃজনশীল পরিচালক। দেবের প্রযোজনা সংস্থা বুধবার তার সৃজনশীল পরিচালনার কিছু মুহূর্ত ভাগ করেছে। সেখানেই স্পষ্ট, এই ভূমিকাতেও তিনি সাবলীল।
তখনও তিনি এই ভূমিকায় আসেননি। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা সামলাচ্ছেন। টলিউড সাক্ষী, দেব প্রয়োজনে সেটে ট্রলি ঠেলেছেন। চেয়ার বয়ে দিয়েছেন। সৃজনশীল পরিচালকের দায়িত্ব কাঁধে তোলার পরে তিনি যেন আরও পরিশ্রমী। সে কথা বলেছেন সিনেমার পরিচালক সুজিত রিনো দত্ত।
তার কথায়, ‘প্রথম দিন থেকে দেব সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। সিনেমার খুঁটিনাটি থেকে নিজের অভিনয়, প্রযোজনা—অদ্ভুত দক্ষতায় সামলেছেন।’
রিনো যে অত্যুক্তি করেননি, তা স্পষ্ট ভিডিওতে। শুটিংয়ের জায়গার ছবি তোলা থেকে শুরু। ক্ল্যাপস্টিক দিয়ে শুটিংয়ের শুভারম্ভ হয়ে সহ-অভিনেতাদের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়া, প্রতিটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হওয়ার আগে আলোচনা—কিচ্ছু বাদ দেননি দেব।
শোনা যাচ্ছে, ‘খাদান’-এর তরফে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে দুটো করে শো দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যার জেরে অন্য বাংলা সিনেমার শো-এর সংখ্যা নাকি কমে গিয়েছে। প্রতিবাদী পরিচালকের দাবি, ‘যে পরিমাণ শো পাওয়া উচিত, আমরা কিন্তু এখনও পাইনি। শুরুতেও যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।’ একটু থেমে আরও যোগ করলেন, ‘যদি আমরা চেয়েই থাকি তা হলেও অন্যায় করিনি। সিনেমার ফলাফল অন্তত তেমনই বলছে।’
সে সব ভুলে টিম ‘খাদান’ বড়দিন এবং দেবের জন্মদিনের উদ্যাপনে মাতোয়ারা। সহযোগী প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মসের অফিসের নীচে এদিন কেক কাটেন দেব। সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে তার প্রথম সিনেমাই সফল। এবার কি সরাসরি পরিচালকের ভূমিকায়? ‘রঘু ডাকাত’ কি তিনিই পরিচালনা করবেন? প্রশ্ন শুনেই চুপ পরিচালক। জানালেন, এর উত্তর সময়ের উপরেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :