দেশের নাট্যাঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি একাধারে অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক, নাট্যকার। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী এই অভিনেতা আগের মতো খুব বেশি নাটকে অভিনয় করেন না। কিন্তু তারপরও ভালো গল্প পেলে তিনি কষ্ট করে হলেও অভিনয় করেন। ‘শেকড়ের টানে’ ঠিক তেমনি একটি ভালো লাগার গল্পের নাটক আবুল হায়াতের কাছে। যে কারণে এরই মধ্যে এই নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। নাটকটি রচনা করেছেন সুজিত বিশ্বাস। নির্মাণ করেছেন বাবু সিদ্দিকী।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘এই নাটকে আমি গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ আমি দাদুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পে দেখা যাবে যে আমি আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলাম গরিব একটি মেয়েকে বিয়ে করার জন্য। দুই যুগ পর তার একটি ছেলে আমার কাছে এসে উপস্থিত হয় শেকড়ের টানে। এটাই মূল গল্প। এর আগে আমি বাবু সিদ্দিকীর নির্দেশনায় কাজ করিনি। তার কাজের ডিজাইন ভালো। আমার কাছে ভালো লেগেছে।’
নাটকটিতে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, আরজুমান্দ আরা বকুল, শাশ্বত দত্ত, মাফতুহা জান্নাত জিম। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আজিজুল হাকিম বলেন, ‘এই সময়ে এই ধরনের গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করার বিষয়টি ভীষণ সাহসের। পরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি গল্প নির্বাচন করার জন্য।’
আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের মধ্যে গুণীজনেরা এখনো আছেন এটাই তো আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। একজন আবুল হায়াত আমাদের অভিনয় অঙ্গনের গর্ব, অহংকার। যদিও তিনি কিছুটা অসুস্থ। তারপরও গল্প ভালো লাগায় তিনি যে অভিনয় করেছেন এটাও অনেক বড় বিষয়। অনেকদিন পর আসলে হায়াত ও হাকিম ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করাটা উপভোগ্য ছিল। শাশ্বত ও জিম নতুন হিসেবে ওরাও বেশ ভালো করছে অভিনয়ে। ওদের জন্য শুভকামনা রইল। পরিচালকের জন্যও শুভ কামনা। এমন ভালো গল্প নির্বাচনের জন্য তাকে বিশেষ ধন্যবাদ।’
মাফতুহা জান্নাত জিম বলেন, ‘পারিবারিক গল্পে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। আমি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চেষ্টা করছি ব্যতিক্রম ধাঁচের গল্পনির্ভর কাজ করার। আবুল হায়াত দাদুর সঙ্গে পর্দা ভাগ করাটা ভীষণ আনন্দের। তার কাজ দেখেই আমার বেড়ে ওঠা। তার মতো গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। নাটকের গল্পটি সব শ্রেণির মানুষের পছন্দ হবে।’
শাশ্বত দত্ত বলেন, ‘কাজটা আমাদের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ আমাদের সবার সিডিউল জনিত সমস্যা এবং বাজেটেরও একটা বিষয় ছিল। যে কারণে কাজটি আমাদের একদিনে করতে হয়েছে। সকাল আটটায় কল টাইম ছিলো, হায়াত স্যার’সহ সবাই ঠিকঠাক মতো সেট-এ এসেছিলেন। কাজটা করার প্রতি সবাই খুব আন্তরিক ছিলেন। তবে বাবু ভাই খুব গুছিয়ে কাজটি শেষ করেছেন। টু দ্য পয়েন্ট-এ তিনি কাজটি শেষ করেছেন। সবমিলিয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে।’ নাটকটি শিগগিরই একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচার হবে।
আপনার মতামত লিখুন :