ঢাকা: সুরের মূর্চ্ছনার সাথে নাচের উচ্ছলতা। আরও ছিল কবিতার দীপ্ত উচ্চারণ ও মূকাভিনয়। সংস্কৃতির আলোকধারায় অন্যরকম ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত একুশের শাণিত চেতনার শহীদ মিনার। নাচ, গান, কবিতা ও মূকাভিনয়ের এমন বর্ণাঢ্য আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় "কালচারে জুলাই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান জুলাই জাগরণী" শীর্ষক এই আয়োজন।
সংহতি প্রকাশ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সকল অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সর্বস্তরের জনসাধারণ। আয়োজনের শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন সানজীদা প্রমি, হিমেল, এফ মাইনর, তাকবীর হোসেন, র্যাপার সিজান, আহমেদ হাসান সানী, সিনা হাসান, গোলাপী, আলেয়া বেগম, পারশা প্রমুখ।
আমরা হয়ত, মানুষ কেন এরকম, তোমায় আমি চিনি না, তোমায় আমি ছুঁতে চাই, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, আমার মুক্তি আলোয় আলোয় ইত্যাদি গানের সুরে সুরে অনুষ্ঠানস্থলে সৃষ্টি হয় অন্যরকম ভালোলাগা আর ভালোবাসা৷
অনুষ্ঠানে পাঠ করেন সাইফ ও অদ্রি। আবৃত্তি করেন মাহবুবুর রহমান টুলু ও জুলফিকার। শারদ পরিবেশন করেন মানজুর। এতে মাইম রক্তগ্রহণ ও আয়নাঘর পরিবেশন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গাজীকালুর পালা পরিবেশন করে মাগুরার সাত্তার সরকার ও তার দল।
অনুষ্ঠানের সংংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন বলেন, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজম আমাদের গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত করেছে। সবকিছু নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনও নষ্টদের দখলে চলে গিয়েছিল। আমাদের শিল্পীরা গ্রাফিতি ও গানের মাধমে সেসবের প্রতিবাদ জানিয়েছে। আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমাদের শিল্পীরা যে প্রতিবাদের দূর্গ গড়ে তুলেছিল সেটি আমাদেরকে নতুন পথচলার প্রেরণা যুগিয়েছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আওয়ামী ফ্যাসিজমের কারণে গোটা দেশের মানুষের কাছে আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গন ও এই অঙ্গনের মানুষেরা নিগৃহীত ছিল। সকল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে আমাদের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষমুক্ত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :