অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটির পদত্যাগ ও সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন অভিনয়শিল্পীরা। সেই দলে ছিলেন শিল্পীসংঘের সদস্যদের অনেকে। জানা গেছে, অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাহী কমিটি। আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) বুধবার বিকেলে বিশেষ সাধারণ সভায় পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তী বিশেষ কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বর্তমান কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় মহাখালীর এসকেএস কনভেনশন সেন্টারে সাধারণ সভার ডাক দিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। শুধু সদস্যরাই সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এদিকে, বুধবারের বিশেষ সাধারণ সভা ঘিরে আজ মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণা শুরু করেছেন সংস্কারপ্রত্যাশী অভিনয়শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা শেয়ার করছেন বিশেষ সভার জন্য প্রস্তুতকৃত ব্যানারের ছবি ও আমন্ত্রণপত্র। কেউ কেউ লিখছেন, ‘ইটস টাইম টু বিল্ড’! তাদের শেয়ার করা পোস্টটিতে লেখা আছে, ‘১৮ই সেপ্টেম্বর আমাদের জন্য একটা আনন্দের দিন হতে যাচ্ছে। এক্সিকিউটিভ কমিটির সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত জায়গা থেকে, অনুধাবনের জায়গা থেকে, সংস্কারের জন্য সম্মতি দিয়েছেন বলেই জানি। পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। আশা করি, ১৮ তারিখের সভায় সংস্কার-প্রস্তাবনা গ্রহণের মধ্য দিয়ে, সংগঠনের যৌক্তিক দায়িত্বগুলো অরাজনৈতিকভাবে মেটানোর পথ তৈরি হবে। অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ-এর এই আয়োজন সফল করে তুলতে হবে সবাইকে। আপনি সংগঠনের সদস্য হিসেবে অবশ্যই আসবেন। যদি সদস্য না হন, যদি আমার মতো ‘অভিনয়শিল্পী’ পরিচয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার চিন্তা করেন, আপনিও আসুন। ভেতরে না হোক বাইরে থাকুন। এই সংস্কারযাত্রা আপনার আমার সবার। আপনার উপস্থিতি পুরো আয়োজনকে গতিশীল করবে। অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ-এই সময়োচিত আয়োজনের জন্য অভিনন্দন প্রাপ্য। সংস্কার শুরু হোক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে।’
জানা গেছে, সংগঠনটির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার আগেই কেন বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে? জানতে চাইলে সংগঠনটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুজাত শিমুল বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশেষ সভা ডাকার নিয়ম আছে।’ পুরো কমিটি পদত্যাগ করার কথা শোনা যাচ্ছে। ঘটনাটি সত্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব অপপ্রচার। সভায় কী আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হবে, সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘আমরা অভিনয়শিল্পী সংঘের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই বিশেষ সাধারণ সভায় যা সিদ্ধান্ত হবে, সেটাই মেনে নেব। তবে আমাদেরও কিছু কথা আছে, আমরা সেই কথাগুলোও বলব।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পী সংঘকে রাজধানীর আফতাবনগরে একটি প্লট বরাদ্দ করা হয়। একে বিশেষ অর্জন বলে মনে করে বর্তমান কমিটি। জানা গেছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেই জমিটি বেদখল হয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :