আতঙ্কে দিন কাটছে সালমান খানের। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় তিনি। যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন। তাই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই সর্বক্ষণ থাকছেন তিনি। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পরে তিনি আরও সতর্ক হয়েছেন।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হত্যার অভিযোগে আজও ভাইজান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায়। তার কারণ কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র বলে মনে করেনবিষ্ণোইরা। কিন্তু সালমান নাকি জানতেনই না, এই হরিণ পূজিত হয়। সম্প্রতি দাবি করেছেন সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলি।
সেই সময়ে সালমানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোমি। সবটা খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তিনি। সালমান ঘটনার পরে নাকি নিজেই জানিয়েছিলেন, কৃষ্ণসার হরিণ এত পবিত্র, সেই ব্যাপারে তার কোনও ধারণা ছিল না। তাই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে চান সোমি। অভিনেত্রী জানান, তিনি হিংসার বিরুদ্ধে। তাই বিষয়টিতে নাক গলাচ্ছেন। নিজের কোনও স্বার্থ নেই তার।
সাক্ষাৎকারে সোমি বলেন, ‘আর যেন কারও প্রাণ না যায়। এটুকুই চাই আমি। এর থেকে আমার কিছু পাওয়ার নেই। প্রচার পাওয়ার জন্য আমি কিছু করছি না। আমার বন্ধু হোক বা প্রতিবেশী, কাউকে যেন আর মরতে না হয়। আমি হিংসার বিরুদ্ধে। আমি সালমানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার শিকারে গিয়েছি। তাই আমি জানি।’ আগামী নভেম্বরে লরেন্সের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান সোমি।
‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার সময় সালমানের সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রেরা। কিন্তু তাদের জড়িয়ে ক্ষতি করতে চান না বলে জানান সোমি আলি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন কানুন রয়েছে। তা হলে সালমানকে ক্ষমা কেন চাইতে হবে? কেউ যেন খুন না হয়। এগুলো ঠিক না। তাই আমি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি ওকে বুঝিয়ে বলব, এটা ঠিক হচ্ছে না। নভেম্বরে আমি বিষ্ণোই বাহিনীর মূল মাথা দেবেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলব। কারণ, লরেন্স বিষ্ণোই বোকা। আমি সালমানের হয়ে ক্ষমা চাইব। সালমান নিজে আমাকে বলেছিল, ও জানত না কৃষ্ণসার হরিণকে পূজা করা হয় বিষ্ণোই গোষ্ঠীতে।’
সবশেষে সোমির দাবি, ‘আসলে এই বিষ্ণোই নিজের প্রচার চায়। সালমান মানুষ হিসাবে যথেষ্ট ভালো।’
আপনার মতামত লিখুন :