নায়ক চরিত্রে যেমন সফল হয়েছেন, তেমনি জ্যেষ্ঠ চরিত্রে এসেও তিনি আলো ছড়িয়েছেন সমানভাবে। অভিনয় নৈপুণ্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার সাবলীল অভিনয়, ভরাট কণ্ঠের সংলাপ দর্শকদের হৃদয়ে নিখাদ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। তিনি প্রবীর মিত্র। বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা।
কয়েক বছর ধরে ভালো নেই এই বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো প্রবীর মিত্র। বাংলা সিনেমার মুকুটহীন এই নবাব আগের মতো আর হাঁটাচলা করতে পারেন না। তার দিন কাটছে ঘরে হুইলচেয়ারে বসে কিংবা বিছানায় শুয়ে। নানা অসুখে তিনি ধরাশায়ী। কয়েক বছর ধরে হাঁটুর সমস্যায় পড়েছেন তিনি।
এখন কেমন আছেন প্রবীর মিত্র জানতে যোগাযোগ করা হলে প্রবীর মিত্রের ছেলে মিঠুন মিত্র বলেন, ‘উনি আগে থেকেই চলাফেরা করতে পারতেন না। এখনও পারেন না। সারাদিন বাসায়ই থাকেন। টিভি দেখেন, পত্রিকা পড়েন। মাঝে মাঝে বই পড়েন। শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন।’
এরপর বলেন, ‘কথাবার্তা বলেন। তবে সেটি ওনার মুডের ওপর নির্ভর করে। যখন ইচ্ছা হয় তখন বলেন। তবে কথা বলতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। কানেও কম শোনেন। এছাড়া ডিমেনশিয়া রোগ আছে। সে কারণে মাঝেমাঝে কিছু কথা ভুলে যান। আমরা যারা কাছাকাছি আছি তাদের চিনতে পারেন।’
মিঠুন জানান, এফডিসি বা অভিনয়জীবন নিয়ে খুব একটা স্মৃতিচারণ করেন না অভিনেতা। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন এছাড়া না। চলচ্চিত্রের কেউ প্রবীর মিত্রের খোঁজও নেয় না বলে জানান তিনি।
১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ নামক একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডে নাম লেখান প্রবীর মিত্র। নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে ক্যারিয়ারে শুরু করলেও পরে চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই পর্দায় মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময়ে অভিনয় করেছেন অজস্র চলচ্চিত্রে।
আপনার মতামত লিখুন :