গানের মাঝেই বেঁচে থাকবেন মান্না দে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ১২:৪১ পিএম

গানের মাঝেই বেঁচে থাকবেন মান্না দে

মান্না দে। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মান্না দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে গুণী এই শিল্পী সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। তার গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান এখনো শ্রোতাদের মুখে মুখে। গানের মাঝেই বেঁচে থাকবেন তিনি।

মান্না দে ১৯১৯ সালের ১ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সাধারণ এক পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। অন্য দশজনের মতো নিজেও চাইতেন পড়াশোনা করে চাকরি করবেন। সেভাবেই জীবনকে দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ছোট্ট ছেলেটি সুযোগ পেলেই গান গাইতেন। সেসব গান শুনেই তার কাকা বিখ্যাত গায়ক কৃষ্ণচন্দ্র দে বুঝতে পারেন, গানে ভালো করবেন তার ভাতিজা। মান্না দেকে নিয়মিত গান করতে ও শিখতে উৎসাহিত করেন। এই চর্চার ফল হিসেবে ত্রিশের দশকে ছাত্রজীবনে আন্তঃকলেজ সংগীত প্রতিযোগিতায় পরপর তিন বছর তিনটি পৃথক বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

মান্না দের অসংখ্য জনপ্রিয় গান শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—‘কফি হাউসের সেই আড্ডা’, ‘সবাই তো সুখী হতে চায়’, ‘যদি কাগজে লিখ নাম’, ‘পৌষের কাছাকাছি’, ‘কতদিন দেখিনি তোমায়’, ‘খুব জানতে ইচ্ছে করে’ প্রমুখ। মান্না দে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, অসমীয়াসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন।

সংগীতে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মভূষণ, ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান এই শিল্পী। এ ছাড়া ভারতে চারটি জাতীয় পুরস্কার, রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ডি-লিট, আলাউদ্দিন খাঁ পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।

রূপালী বাংলাদেশ/রুআ

Link copied!