বিতর্কিত চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার একের পর এক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ, যা নিয়ে বিপাকে সাধারণ শিল্পীরাও। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কঠোর ভূমিকা নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব। তিনি দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘নিপুণের নামের সঙ্গে যে অশ্লীল শব্দ জুড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছে তার জন্য আমরা লজ্জিত। তিনি গোটা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মানুষকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এখন আর আমরা তাকে শিল্পী মনে করি না। এ পর্যন্ত তিনি যা কিছুই করেছেন সব প্রশ্নবিদ্ধ। তাকে নিয়ে যত কথা হচ্ছে আমরা সংকিত হচ্ছি। তার এসবে আমরা লজ্জা পাচ্ছি। কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে যে, মেয়েটি আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। আমরা কেন এমন কর্মকাণ্ড করব ক্ষমতা চলে গেলে কিংবা পদ পরিবর্তন হলে এতটা উলঙ্গ করে ফেলবে। নিপুণ থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতা এমন একটি জিনিস যেটা সৃষ্টিকর্তা দান করে। ক্ষমতা প্রয়োগ করে কিংবা জোর করে কখনোই কিছু করা সম্ভব না। এফডিসির সংগঠনগুলো অরাজনৈতিক। এফডিসিতে রাজনীতি থাকা ঠিক না। শিল্পীদের হতে হয় নিরপেক্ষ। কেউ যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে থাকে সেটা এফডিসির গেটের বাইরে, ভেতরে নয়। একজন শিল্পী সবার।’
শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তায়েব বলেন, ‘শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে আছে সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করলে তাকে বহিষ্কার করার নিয়ম রয়েছে। তিনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের নামে বক্তব্য দিয়ে অনেক আগেই সেই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এ জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। তার সঠিক উত্তর পাইনি। সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যে গল্পে নাম জড়িয়েছে, তা সমিতির যথেষ্ট ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য লজ্জার। সর্বোচ্চ নিয়মে তার শাস্তি হবে। শিগগিরই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তার শাস্তি হবেই। পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সমিতির সদস্য থাকার মতো কাজ তিনি করছেন না। আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি।’
সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের রাজনীতিতে আসা উচিত না। এতে দর্শক ভাগ হয়ে যায়। একজন শিল্পী সবার। তার পরিচয় একমাত্র শিল্পী। আর শিল্পী হয়ে রাজনীতি করে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জড়ালে একসময় চোরের মতো পালাতে হয়। যেটা আমরা দেখেছি। শিল্পীদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :