ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

পাইরেসির বাড়বাড়ন্ত, ভারতীয় সিনে-বাজারে ধস!

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম

পাইরেসির বাড়বাড়ন্ত, ভারতীয় সিনে-বাজারে ধস!

ছবি: সংগৃহীত

সিনেমা হল বিমুখ হয়েছেন দর্শকদের একাংশ। করোনাকালের পর থেকেই বেড়েছে ওটিটির চাহিদা। এখন অনেকেই ঘরে বসে সিনেমা, সিরিজ দেখতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেটা কি একমাত্র কারণ সিনেমা হলে দর্শক কমার? রিপোর্ট জানাচ্ছে ব্যাপারটা ঠিক তেমন না। ২০২৩ সালে পাইরেসির কারণে ২২,৪০০ কোটি টাকার লোকসান গিয়েছে ভারতের ইন্ডাস্ট্রির।

সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে ২০২৩ সালে ভারতীয় বিনোদন জগৎ পাইরেসির কারণে ২২,৪০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। আর এই রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এনেছে EY এর দ্য রব রিপোর্ট এবং দ্য ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া।

সেখানেই জানানো হয়েছে ভারতের প্রায় ৫১ শতাংশ বিনোদনের গ্রাহকরা পাইরেটেড জায়গা থেকে সিনেমা বা সিরিজ দেখে। আর এর মধ্যে সিনেমার থেকেও বেশি পরিমাণ আছে সিরিজের। উল্লিখিত ৫১ শতাংশের ৬৩ শতাংশ থাকে স্ট্রিমিং সার্ভিস। ফলে এই রিপোর্টে তারা জানিয়েছেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত পাইরেসি আটকাতে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘২০২৩ সালে ভারতের পাইরেটেড ইকোনমি ২২,৪০০ কোটি টাকার ছিল। এর মধ্যে ১৩,৭০০ কোটি টাকা সিনেমা হল থেকে পাইরেটেড হওয়া জিনিস থেকে তৈরি হয়েছে আর ৮,৭০০ কোটি তৈরি হয়েছে ওটিটি মাধ্যমের পাইরেটেড জিনিস থেকে।’

জানা গেছে, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পাইরেসি করা এবং পাইরেটেড মাধ্যম থেকে সিনেমা, সিরিজ নামিয়ে দেখার প্রবণতা বেশি। এটা মূলত অতিরিক্ত বেশি সাবস্ক্রিপশন ফির জন্য বলেই তারা জানিয়েছেন। আবার অনেকেই কোনও ওটিটি মাধ্যমের সাবস্ক্রিপশন নিতে চান না, তাই তখন পাইরেসি বেছে নেন।

এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে EY এর দ্য রব রিপোর্ট এবং দ্য ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার তরফে রোহিত জৈন জানিয়েছেন এই মুহূর্তেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এটা আটকাতে। তার মতে সরকার, ইন্ডাস্ট্রির মাথা এবং অবশ্যই দর্শকদের যৌথ ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে এটার বিরুদ্ধে।

রূপালী বাংলাদেশ/রুআ

Link copied!