পূজার মৌসুমে বক্স অফিসের দিকে বরাবরই নজর থাকে। এবারও টলিউডে তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। দেব-সৃজিতের ‘টেক্কা’, আবির-শিবপ্রসাদের ‘বহুরূপী’ এবং মিঠুন-সোহমের ‘শাস্ত্রী’। আর সেই দৌড়েই বেড়ে খেলছে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ‘বহুরূপী’। দিন যত গড়াচ্ছে, নন্দিতা-শিবপ্রসাদের এই সিনেমার ক্রেজ যেন সিনেদর্শকদের মধ্যেই ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তার প্রমাণ রেকর্ড হারে টিকিট বিক্রি।
প্রতি ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হচ্ছে ‘বহুরূপী’র। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ২৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রযোজনা সংস্থার দাবি, যা কিনা বাকি দুটি টলিউডের পূজা মুক্তির থেকে অনেক বেশি। বক্স অফিসে একপ্রকার ঝোড়ো ইনিংস খেলছে ‘বহুরূপী’। রেটিংও দারুণ। দশে ৮.৬। এই পূজার মৌসুমে একশোর উপরে শো হাউসফুল। এহেন সাফল্যে আপ্লুত নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
শুধু ‘বহুরূপী’ নয়, এই সাফল্যকে পরিচালক, প্রযোজকদ্বয় বাংলা সিনেমার জয় হিসেবেও দেখছেন। শিবপ্রসাদ জানালেন, ‘খুবই আনন্দের। এই সিনেমায় আমরা অনেক নতুন এক্সপেরিমেন্ট করেছি। এখনও পর্যন্ত উইন্ডোজ-এর সব থেকে বড় বাজেটের সিনেমা ‘বহুরূপী’। দর্শকের কাছে এই সিনেমা যেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, তাতে আমরা সত্যিই আপ্লুত। বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির কাছেও একটা বড় প্রাপ্তি বলা যেতে পারে। ‘বহুরূপী’র এমন সাফল্য আমাদের সাহস জোগাল। এর পর হয়ত ভিন্ন ধরণের সাবজেক্ট নিয়ে সিনেমা বানাতে হলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমাদের উইন্ডোজ-এর ক্যারিয়ারে আজ পর্যন্ত সব থেকে বেশি ব্যবসা করা সিনেমা ‘বহুরূপী’। যা কিনে মুক্তির মাত্র ৪ দিনেই সম্ভব হয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে নন্দিতা-শিবপ্রসাদ জানান, ‘বহুরূপী’ যেভাবে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে তাতে তারা আপ্লুত। মানুষের মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প যা বাংলার ঐতিহ্যকেও বহন করবে, এমন গল্প তৈরি করাই তাদের সবসময়ের লক্ষ্য। আর দর্শকরা যখন ‘বহুরূপী’র সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠতে পারছেন, তা দেখে বড় ভালো লাগছে পরিচালক জুটির। তাদের বিশ্বাস, এই সময়টা বাংলা সিনেমার জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য একটি অধ্যায়। পাশে দাঁড়ানোর জন্য দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন দুজন।
মূলত চোর-পুলিশ খেলার মন্ত্রণার উপর সিনেমার ভাবনা প্রতিষ্ঠিত। ‘ব্যাঙ্ক ডাকাত’ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাকে ধরতে মরিয়া ‘সুপারকপ’ আবির চট্টোপাধ্যায়। দুই তারকার সম্মুখ সমরের গল্প দেখা যাচ্ছে সিনেমা হলে। সিনেমাতে আবিরের নায়িকা ঋতাভরী চক্রবর্তী। আর কৌশানী মুখোপাধ্যায় রয়েছেন শিবপ্রসাদের বিপরীতে। ‘বহুরূপী’তে পুলিশ ও ডাকাতের যে-দাম্পত্য সমান্তরাল, তা বেশ আগ্রহব্যঞ্জক। একদিকে রুচিশীল ও সমস্যাজর্জর, অথচ উপরিতলে নিরাপদ এক বৈবাহিক জীবনের আলাপ, অন্যদিকে সারল্যের মধ্যেও উদ্দামতা ও অনিশ্চয়তার প্রেম ও মিলনের সরগম- যেন আশ্চর্য এক বৈপরীত্য ও সেতুবন্ধনকে প্রতিষ্ঠা দিয়ে চলে।
আপনার মতামত লিখুন :