ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সেলিম আল দীন। ছবি: সংগৃহীত

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন বাংলার নাট্যভুবনে এক অনন্য উজ্বল নাম। সত্তর-আশির দশকের উত্তাল এই শিল্পমানব বাংলার নাট্যাকাশে অনবদ্য এক পথরেখার সূচনা করেন। গণমানুষের বলা-না বলা জীবনকথা, তাদের আনন্দ-বেদনা, বিরহ-যন্ত্রণা সবই শৈল্পীক মহিমায় ধরা দিয়েছে সেলিম আল দীনের নাট্য প্রয়াসে।

প্রজ্ঞা, মেধা, মনন ও দক্ষতায় যে ক’জন নিরলস সাংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব আমাদের সহজিয়া লোকজ বাংলার উর্বর সংস্কৃতিকে বহুমাত্রায় বহুদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গেছেন নাট্যকার সেলিম আল দীন ছিলেন তাদের ভেতর অন্যতম। আজ ১৪ জানুয়ারি রবীন্দ্রোত্তর বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ নাট্যকার সেলিম আল দীনের চলে যাওয়ার দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে তিনি পরলোক গমন করেন।

সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ছিল তার প্রবল ঝোঁক। তাই নতুন বই দেখলেই পড়ে ফেলতেন এক নিমেষেই। লেখক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে। ১৯৯৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে নাটকের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন সেলিম আল দীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি, যুক্ত হন ঢাকা থিয়েটারে। বাংলাদেশে একমাত্র বাংলা নাট্যকোষের প্রণেতা তিনি। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সেলিম আল দীন ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফকে সাথী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।

সেলিম আল দীনের নাটক ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। নাট্যচর্চায় অসামান্য অবদানের জন্য সেলিম আল দীন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার-সম্মাননা লাভ করেন।

রূপালী বাংলাদেশ/রুআ

Link copied!