চিত্রতারকা শাকিব খানের প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৫ নভেম্বর। এতে তাকে দেখা যাবে দুলু মিয়া চরিত্রে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। এটি হচ্ছে শাকিবকে নিয়ে মামুনের দ্বিতীয় সিনেমা। এর আগে দেশসেরা এই নায়ককে নিয়ে তিনি ‘নবাব এলএলবি’ নামের একটি নির্মাণ করেন। ‘দরদ’ সিনেমা প্রসঙ্গে রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন এই তরুণ নির্মাতা।
পরিবর্তন
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠিত হয়েছে। তবে এর মাধ্যমে কি পরিবর্তন হয়েছে বা হচ্ছে আমরা যারা চলচ্চিত্র নির্মাতা আছি তাদের এই বিষয় নিয়ে এখনই বলা মুশকিল। কাগজপত্রে তো অনেক কিছুই থাকে। আমরা দেখতে চাই ফিল্ড ওয়ার্ক। ফিল্ড ওয়ার্ক-এ যদি পরিবর্তন আসে আর সেই পরিবর্তনটা যদি সিনেমার উন্নতির জন্য হয় তাহলে ভালো। অন্যথায় এই পরিবর্তন করে লাভ হবে না।
দরদ
আমি অন্য সবার মতো বলতে চাই না যে, এই সিনেমা সব রেকর্ড ব্রেক করে ফেলবে এবং বিশাল কিছু করে ফেলবে। আমি একটা ভালো কন্টেন্ট বানিয়েছি। প্রত্যেক নির্মাতা চেষ্টা করে ভালো কন্টেন্ট বানাতে, আমিও চেষ্টা করেছি। সিনেমা দেখার পর দর্শকরাই ঠিক করবে এই সিনেমার ফলাফল কি হবে।
ঝুঁকি
ঈদ ছাড়া সিনেমা মুক্তি দেওয়া অনেকেই ঝুঁকি মনে করেন। তবে আমার কাছে ঝুঁকি মনে হচ্ছে না। আমরা যখন সিনেমাটা বানানো শুরু করি তখন থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছি ঈদ ছাড়া মুক্তি দেব। সুতরাং সেই জায়গা থেকে চিন্তা করলে এটি নতুন কিছু মনে হচ্ছে না আমার কাছে।
অন্যরা নেই প্রচারণায়
প্রতিটি সিনেমার প্রধান চরিত্রের দিকে সবার দৃষ্টি থাকে। ‘জওয়ান’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে ছিলেন শাহরুখ খান। তিনিই সিনেমাটির সবচেয়ে বেশি প্রচারণা করেছেন। দরদ’র প্রধান চরিত্রে আছেন সেরা নায়ক শাকিব খান এবং বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। তারা দুজনই প্রচারণা করছেন। আরেকটা বিষয় হলো আমরা সিনেমা মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছি তাড়াহুড়ো করে। এখনো অনেক সময় আছে। শিগগিরই বাকি শিল্পীরাও প্রচারণায় যুক্ত হবেন।
রসায়ন
শাকিব এবং সোনাল দুজনের রসায়ন দারুণ ছিল। দুজনই খুব ভালো কাজ করেছেন। সেটি তো আপনারা দেখতেই পারছেন। দরদের একটা গানের টিজার ছাড়ার পর সেটি এখন ভাইরাল। দুজনের সাথে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। শাকিব খানকে নিয়ে সোনাল খুবই পজিটিভ ছিলেন। তার ব্যক্তিত্ব, বিনয় এবং অভিনয় দক্ষতা সোনাল চৌহানকে অভিভূত করেছে।
টিকটকারদের দিয়ে প্রচারণা
আমি ব্যাপারটা ইতিবাচক ভাবে দেখি। কে, কি বলল সেটা নিয়ে ভাবছি না। শুধু টিকটকার না, আমার টার্গেট হচ্ছে আপ টু বটম। এক থেকে দশ পর্যন্ত যারা আছে সবাইকে দিয়ে সিনেমার প্রচারণা করাবো। একজন টিকটকারের ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার আছে। এই ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার এরা কি মানুষ না? প্রত্যেকটা প্রচারণা গুড প্রচারণা। কোনো প্রচারণার মধ্যে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। টিকটক করে জনপ্রিয় হয়েছে বলেই তো আমরা তাদেরকে চিনি, তাদেরকে নিয়ে কথা বলতেছি। টিকটক করে বলে কাউকে হেয় করা এই ভেদাভেদে আমি যেতে চাই না। আমার সিনেমা সবার জন্য।
মূল্যায়ন
একজন মানুষ নিজেকে উপরে তুলবে, ভালো কিছু করবে এটাই তো সবাই চায়। এটাই হওয়া উচিত। শাকিব খান ইজ শাকিব খান। তিনি তার নিজের যোগ্যতা দিয়েই এই জায়গায় পৌঁছেছেন। সিনেমা প্রতি শাকিব খান এখন যে সম্মানি পান তা দিয়ে দুটি সিনেমা বানানো যাবে। তাকে এত টাকা পারিশ্রমিক দেওয়ার কারণ হচ্ছে নিশ্চয়ই তার মার্কেট আছে, যোগ্যতা আছে। কেউ তো লস করে টাকা দিচ্ছে না।
নতুন কাজ
পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এখনই বলতে চাই না। এখন দরদেই থাকতে চাই। সিনেমাটি মুক্তির পরে পরবর্তী কাজ নিয়ে কথা বলব।
আপনার মতামত লিখুন :