চিত্রনায়ক নিরব হোসেন। মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। র্যাম্প মডেল থেকে টিভি নাটকে নাম লেখান তিনি। সেখান থেকেই ডাক পান চলচ্চিত্রে। ২০০৯ সালে যুগল নির্মাতা শাহীন-সুমনের ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’ চলচ্চিত্র দিয়ে তার সিনেমা জীবন শুরু হয়। এরপর তিন ডজনের বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন নিরব। মাঝে মাধ্যে বিশেষ দিবসের নাটকেও তার দেখা মেলে।
ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন নিরব। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দাম্পত্য জীবনের প্রায় এক দশক হতে চলেছে নিরব ও তাসফিয়া তাহের চৌধুরীর (ঋদ্ধি)। দশ মাসের প্রেম তারপর বিয়ে। নিরব-ঋদ্ধির সংসারে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার।
হঠাৎ করেই যেন সেই সংসারে অশান্তির বার্তা হয়ে আসে একটি মেসেজ। নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে গতকাল ভোর রাতে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঋদ্ধি। স্ত্রী ও সন্তান ফেলে রেখে প্রাক্তনকে নিয়ে দেশের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিরব, এমনটাই দাবি করেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পর স্ট্যাটাস দুটি মুছে ফেলেন নায়কের স্ত্রী।
একই দিন দুপুর দুইটার দিকে ভোল পাল্টে আর একটি স্ট্যাটাস দেন নিরবের স্ত্রী। নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে ঋদ্ধি লেখেন, গতকাল রাতে আমার প্রথম স্ট্যাটাসের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। স্পষ্টভাবে বলতে চাই তিনি (নিরব হোসেন) আমার সঙ্গে প্রতারণা করেননি। তার প্রাক্তন একজন তাকে মেসেজ করেছিল। এটি একতরফা সাধারণ যোগাযোগ ছিল। আমি সেই মুহূর্তের একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছি। তারা ভালো আছেন জানিয়ে আরও লেখেন, এই যোগাযোগের জন্য তিনি কোথাও দায়ী ছিলেন না। তাই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কোনো সমস্যা নেই।
বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পালিয়ে বিয়ে করেন নিরব-ঋদ্ধি। সেসময় তাদের এই বিয়ে মেনে নেননি নিরবের শ্বশুর। নায়কের নামে ঠুকেছিলেন মামলাও। এই মুহূর্ত নিরব দুই মাসের বিদেশ সফরে রয়েছেন। সেখানে বেশকিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংসারের অশান্তি নিয়ে স্ট্যাটাসের কিছুক্ষণ পর ঋদ্ধির ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করেন। পরবর্তীতে আইডি অ্যাকটিভ করে জানান তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে। স্ট্যাটাসে প্রাঙ্গনের কথা বললেও কে সে তা বলেননি নায়কের স্ত্রী। তবে কার সঙ্গে নিরবের পরকীয়া জানতে চান নেট নাগরিকরা।
আপনার মতামত লিখুন :