টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের একজন তিনি। অল্পদিনেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন। ছোট পর্দা দিয়ে উত্থান, এখন বড় পর্দা ওয়েব মাধ্যমে রাজ করছেন। কিন্তু এহেন অভিনেত্রী ইশা সাহা নিজেই নিজের কাজ দেখেন না! কিন্তু কেন?
নিজের কাজ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘যখন তুমি জানো না তুমি কি পারো সেটা তোমার জন্য ভালো। আমার তো কোনওদিন নিজেকে পছন্দ হয়নি। আমি এখনও প্রিমিয়ারে বাইরে ঘুরে বেড়াই। কারণ নিজেকে দেখলে আমার মনে হয় ভুল করলাম। এটা এরকম হল। এটা আরও একটু ভালো হতো না। কেমন যেন একটা লাগছে। এটা আমার সবসময় চলে, করি।’
তিনি এদিন আরও বলেন, ‘আমি লোকের সামনে বসে নিজের কাজ দেখি না। পরে দেখি যখন কোনও ওটিটি বা কোথাও আসে তখন। তখন একা বসে বসে খুঁতগুলো ধরি। মনিটর দেখি না। এটা ঋত্বিক দার থেকে শেখা।’
টলিউডে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমি যথেষ্ট সেফ ছিলাম, আছি। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমি বিলং করি না। আমি একজন আউটসাইডার। কিন্তু আমি যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা সেফ ফিল করিয়েছেন। আমার প্রথম কাজ ৮ মাসের জন্য একটা টিভি ছিল। মহিলা ডিরেক্টর ছিলেন। পুরুষদের কেন সবসময় দোষ দিয়ে দেওয়া হয়? মহিলারাও তো করতে পারেন। শারীরিক ক্ষতি না করেও, মানসিক ক্ষতি করতে পারে। এরম হয়েছে। এমন প্রচুর সহ-অভিনেত্রী আছেন, সিনিয়র অভিনেত্রী আছেন, সবাই বলব না। কিন্তু আছেন। এরা নতুনদের মানসিক ভাবে ক্ষতি করেন। কিন্তু কেউ এটাকে আলাদা করে দেখেন না। ভাবেন আচ্ছা এটা তো হয়। এটাও একটা শেখার ব্যাপার। প্রথম কাজে মহিলা পরিচালক ছিলেন বলে অসুবিধা হয়নি। নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু তাও সহ-অভিনেত্রীদের থেকে অসুবিধা পেয়েছি। কিন্তু মুখ খুলতে পারিনি যেহেতু নতুন ছিলাম, সময় পেতাম না, প্রচুর কাজ থাকত।’
ইশা সাহাকে আগামীতে অপরিচিত সিনেমাতে দেখা যাবে। আগামী ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। মুখ্য ভূমিকায় তার সঙ্গে থাকব ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। এসকে মুভিজের প্রযোজনায় আসছে সিনেমাটি।
আপনার মতামত লিখুন :