ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

‘গণহত্যাকে সমর্থন করা বাকস্বাধীনতা না’

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম

‘গণহত্যাকে সমর্থন করা বাকস্বাধীনতা না’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শুরু থেকেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরব ছিলেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ মুকুট জয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। পুরো সময়টা রাজপথে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এবারই প্রথম নয়, ২০১৮ সালেও আন্দোলনে প্রথমসারিতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। যে কারণে নানান হুমকিও পেয়েছিলেন বলে জানান তোরসা।

এদিকে, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই‍’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আন্দোলন দমাতে বেশ সক্রিয় ছিল। সেই গ্রুপের বেশকিছু স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই গ্রুপে চর্চা হয় তোরসাকে নিয়েও। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ’র ব্যানারে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনিও। সেই সাক্ষাৎকারেরই একটি স্ক্রিনশট ওই গ্রুপে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে তোরসা বলেছেন, ‘আমরা শিল্পীরা নাকি অনেক মানবিক হই, বুঝ বুদ্ধি চিন্তায় অনেক উন্নত হই, আলোকিত মানুষ হই। আপনারা হতে পারলেন না, অন্ধকারেই থেকে গেলেন। লাশের স্তুপ দেখেছেন নিশ্চয়ই আপনারা? এত এত হতাহত, দেড়শো লাশ নিয়ে যাওয়া হতো কবরস্থানে। তারপরও গণহত্যাকে সরাসরি সমর্থন করা বাকস্বাধীনতা না। আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন প্রথম আন্দোলনে অংশ নেই তখনো অনেক হুমকি দেওয়া হয়। ডিজিএফআই আমাকে ট্র‍্যাক করে। ছোট ভাইকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে এমন নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরকার পতনের আগ পর্যন্ত নিজ বাসায় থাকতে পারিনি। প্রাণনাশ এবং ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়া হবে এরকম অনেক কথা শুনেছি। আমাকে ঘরের বাইরে থাকতে হয়েছিল। এক বান্ধবীর বাসায় এক সপ্তাহ থেকেছিলাম। গোপন গ্রুপে যেভাবে আমাদের নিয়ে কথা হচ্ছিল তারা যদি ক্ষমতায় টিকে যেত তাহলে আমাদের কি অবস্থা হতো তা কারো বোঝার বাকি নেই।’

আরবি/ এইচএম

Link copied!