রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রুহুল আমিন ভূঁইয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম

গল্পটি সবার জীবনের সঙ্গে মিলে যাবে: সারিকা

রুহুল আমিন ভূঁইয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম

গল্পটি সবার জীবনের সঙ্গে মিলে যাবে: সারিকা

সারিকা। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। তার ক্যারিয়ার যখন মধ্য গগণে, ঠিক তখনই শোবিজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। এরপর লম্বা একটা বিরতি কাটিয়ে আবার ফিরে আসেন আপন ভুবনে। কাজের মাধ্যমে ধীরে ধীরে আবার আগের সেই ছন্দে ফেরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়েব ফিল্ম নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন তিনি। কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে রূপালী বাংলাদেশ’র সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

দ্বিতীয় ওয়েব ফিল্ম
‘মায়া’ একটি পারিবারিক টানাপোড়েন ও এই সময়ের নারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে আমার অভিনীত দ্বিতীয় ওয়েব ফিল্মটি। এতে আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এটি অসম্ভব একটি ভালো কাজ। এর প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই লুফে নিয়েছি। রায়হান রাফি চমৎকার একজন পরিচালক। তিনি যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন। মায়া চরিত্রে মিশে যাওয়ার সর্বাচ্চে চেষ্টা করেছি। এর গল্প সাধারণ হলেও অসাধারণ ভাবে বলা হয়েছে। আমি সহ প্রতিটি চরিত্রে ভিন্নতা আছে। গল্পটি সবার জীবনের সঙ্গে মিলে যাবে। এটি আমাদেরই গল্প। চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। চরিত্রের অনেকগুলো সাইট আছে। নিজের সেরাটা দিয়ে পরিশ্রম করেছি। রায়হান রাফির কারণেই মায়া লুফে নেওয়া। কারণ, তার সঙ্গে কাজ করার অনেকদিন ধরে ইচ্ছে ছিল। অবশেষে তা পূরণ হয়েছে। গতকাল ওয়েব ফিল্মটির মুক্তি উপলক্ষে প্রিমিয়ার হয়েছে। যারাই কাজটি দেখেছেন প্রশংসা করেছেন। এই কাজটির মাধ্যমে অনেক বছর পর ইমনের সঙ্গে কাজ করেছি। আমরা অনেক বেশি কাজ করেছি তা কিন্তু নয়। দীর্ঘ সময় আমাদের যোগাযোগ ছিল না। সেই জায়গা থেকে কাজে সমস্যা হয়নি। আমার ধারণা, ‘মায়া’ দেখে দর্শক পরিপূর্ণ বিনোদন পাবে।

চরিত্র
মায়া এমন একটি চরিত্র, যার সঙ্গে প্রতিটি মেয়ে নিজের মিল খুঁজে পাবে। পর্দায় দর্শক যেন আমাকে দেখে সারিকা নয়, মায়া মনে করেন—সেই চেষ্টা করেছি। শুটিং শুরুর আগে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রটি আয়ত্তে আনার জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করেছি। শুধু আমি নই, দর্শকদের একটি ভালো কাজ উপহার দেওয়ার জন্য পরিচালক থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই অনেক কষ্ট করেছেন। ইমনও অনেক ভালো করেছেন।

সিনেমা
আমার ভক্তরা আমাকে সিনেমায় দেখতে চান। সিনেমার জন্য আমি নিজেও অপেক্ষা করছি। ভালো কিছুর জন্যই এত বছর ধরে অপেক্ষায় আছি। এমন একটি গল্পের অপেক্ষায়, যেটা পেলেই লুফে নেব। সিনেমার যে প্রস্তাব পাইনি তা কিন্তু নয়। কিন্তু ভালো কিছু চাই। মন মতো গল্প হতে হবে। কাজটির জন্য যেন আফসোস না থাকে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখনো সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছি। এমন একটি কাজের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে আসতে চাই প্রথম সিনেমাটি যেন দর্শক লুফে নেয়। কথায় আছে না অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়। সেই অপেক্ষায় আছি।

সারিকা। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতির শিকার
কাজ করতে গেলে কম বেশি সবাই রাজনীতির শিকার হয়ে থাকে। সব জায়গাতেই রাজনীতি আছে। ক্ষেত্র বিশেষ তা প্রকাশ পায়। তবে আমি খুব একটা পর্যবেক্ষণ করে দেখিনি। আমি কাজের জায়গায় সবসময় শতভাগ দিয়েছি। প্রতিটি কাজেই নিজের সেরাটা দিয়ে করার চেষ্টা থাকতো। যেখানে দর্শকের ভালোবাসা আছে আমি সেখানেই আছি।

অন্তর্জাল
সাত বছর ধরে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই। এর পেছনে আলাদা কেনো কারণ নেই। সাত বছর আগে যখন অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয় তখন ভাবলাম কিছু দিন যাক তারপর খুলি। এভাবে দুই-তিন মাস পার হতে লাগলো। তখন মনে হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া তো ভালোই আছি। আপাতত সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকি। ফের যখন থাকাটা জরুরি মনে হবে তখন পুনরায় অ্যাকাউন্ট খুলবো। এভাবেই সাতটি বছর পেরিয়ে গেছে। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। এই সময় এসে কাজের প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুবই দরকার। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় আমার অনেক সময় বেঁচে যায়। যদিও আমি এটির বিপক্ষে নই। আশা করছি, আমার ভক্তরা শিগগিরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে পাবে।

প্রথমবার
ক্যারিয়ারের প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম ডিজুস’র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। তখন অনেক ছোট ছিলাম। সবে স্কুলে পড়ি। এর আগে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর কখনোই এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। জীবনের প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও কখনো সেটা ফিল করিনি। ছোট বলেই হয়ত বুঝতে পারিনি। নার্ভাসও লাগেনি। পরিচালকের কথা মতো কাজ করেছি। বিরতি শেষে যখন ২০১৬ সালে মোস্তফা কামাল রাজের একটি নাটক দিয়ে ফের শুরু হয়। লম্বা বিরতির পর ক্যামেরার সামনে আসি। তখন খুব নার্ভাস লেগেছিল। ছোটবেলায় না লাগলেও বিরতির পর এসে লেগেছিল। একটা সিন করার পর পরবর্তীতে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!