অপেক্ষায় ইধিকা পাল

সোমবার গণরোষ। এক রাতের মধ্যে বদলে গেল আমার চেনা বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে গিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’র শুটিং করেছি। ঈদের দিনে সিনেমাটা যখন মুক্তি পেল, প্রিমিয়ারে গিয়েছিলাম। দর্শকদের উন্মাদনা দেখে আনন্দে চোখে জল। বাংলাদেশের হৃদয় এত উষ্ণ। এত ভালোবাসা জমে আছে পড়শি দেশের হৃদয়ে! কিন্তু সেই একই হৃদয়ে এত ঘৃণা জমেছিল, টের পাইনি তো! নতুন বাংলাদেশ নিয়ে এভাবেই বললেন টলি সুন্দরী ইধিকা পাল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আপ্যায়নের কথা আমার থেকে শুনুন। ইলিশ মাছের রকমারি পদ, ঢাকাই জামদানির কথা সকলের জানা। ওখানে একটি বাড়িতে নিমন্ত্রণ মানে কম করে ১৪ রকমের রান্না। ওজন বাড়িয়ে ফিরেছিলাম ওপার বাংলা থেকে। তখনও ঘুণাক্ষরে টের পাইনি, আমার চেনা সেই দেশে এত রক্ত ঝরবে। ঝরবে লাখো লোকের চোখের জল। এক এক সময় এ-ও মনে হচ্ছে, আমি না হয় অন্য দেশের। বাংলাদেশের মানুষেরাই কি টের পেয়েছিলেন, এভাবে ছাত্র আন্দোলনের ধারা বদলে যাবে?

বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করে ইধিকা বলেন, আমার প্রিয় পড়শি দেশ, তোমার জন্য, দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য মন থেকে প্রার্থনা করছি, আবার সব শান্ত হোক। হাসিতে ঝলমলিয়ে উঠুক সোনার বাংলা। প্রবাহিত হোক, ভালোবাসার ফল্গুধারা। যার স্পর্শে হিংসা, ঘৃণার মতো সব কালো ধুয়ে যাবে। জানি, আমার প্রার্থনা সফল হবেই।

শেষে এই অভিনেত্রী বলেন, বাংলাদেশ—তোমায় নিয়ে আমার কোনো নালিশ নেই। সমস্যা নেই, ভয়ও নেই। তুমি ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার মাধ্যমে দুই দেশের বিনোদন, সংস্কৃতি, ভাবের আদান-প্রদান ঘটিয়েছ। তাই আবারও তোমার ডাকের অপেক্ষায়। বাংলাদেশ চেনা ছন্দে ফিরলেই আমি আবার সে দেশের সিনেমার নায়িকা হব, সেখানে কাজ করব। কারণ, আমার ওপরে তো বাংলাদেশের কোনো রাগ নেই।

প্রসঙ্গত, গত বছর মুক্তি পায় আরশাদ আদনান প্রযোজিত এবং হিমেল আশরাফ পরিচালিত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। মুক্তির পর বেশ সফলতা পায় এটি। এছাড়া ‘কবি’ নামে আরও একটি বাংলাদেশি সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এটি পরিচালনা করেছেন হাসিবুর রেজা কল্লোল।