‘পারিবারিক আইনে সমতা আনি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি’ স্লোগানের আলোকে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০২৪ পালিত হচ্ছে। দিবসটি নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন নন্দিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
তিনি বলেন, ‘আজকে এই মুহূর্তে দেশে একটা মেয়ের কথা বলা, রাস্তায় পথ চলা, সে কি পোশাক পরবে এসব প্রাথমিক পর্যায়ের নিরাপত্তা এবং অধিকার বোধ যা আমাদের অর্জিত ছিল সেটি কাজ করছে না। ‘পারিবারিক আইন সমতা অনি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি’ এটি একটি কাগজের ওই এই মুহূর্তে। গত ৩ মাসে নারীর উপর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে কয়েকশো নারীকে। প্রকাশ্যে নারীকে শারীরিক নির্যাতনের সময় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা, মব বাহিনীর হাতে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণ, হত্যার শিকার ৬০ এর উপর।’
রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘গত ৩ মাসে পোশাকের কারণে নির্যাতনের শিকার ১৫-২০ জন নারী। রাষ্ট্রের এই রকম দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক দল কর্তৃক নারীর পোশাক যখন নিয়ন্ত্রিত, নারী শিক্ষা, কর্ম যখন নিয়ন্ত্রিত তখন নারীর অধিকার, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কয়েক ধাপ পিছিয়ে যায়। বিগত সরকারের সময় পর্যন্ত যতটুকু অগ্রসর হয়েছিল নারী বর্তমান সরকারের সময়ে নারীরা অনিরাপদ ও হুমকির সম্মুখীন।’
বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নারীর উন্নয়ন, নিরাপত্তা, অধিকারের সমতা তখনই সম্ভব যখন রাষ্ট্র নারীর প্রতি সমতায় বিশ্বাসী হয়। রাষ্ট্র নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করতে চাইতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা থাকতে হবে। নারীর স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রাষ্ট্রে নারীর নিয়ন্ত্রক কোনো রাজনৈতিক দল নয়, নারীর নিয়ন্ত্রণ নারীই করবে। সিদ্ধান্ত নারী নিতে পারবে এই সভ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকেই।’
আপনার মতামত লিখুন :