নাটকীয়তায় ভরা এক রাতে কোপা দেল রের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে জুলিয়াস কুন্দ্রের অসাধারণ এক গোলে জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার। এই জয়ে রেকর্ড ৩২তম শিরোপা ঘরে তুলেছে কাতালানরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুজায় অনুষ্ঠিত হয় এই দ্রুপদী লড়াই। যেখানে ২-২ গোলের সমতায় নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ করে দুই দল। ফলে খেলা গড়াই অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ১১৫তম মিনিটে ডিফেন্ডার জুলিয়াস কুন্দ্রে কাতালানদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। এরপর ম্যাচের শেষদিকে বার্সার রক্ষণভেদ করে এগিয়ে গোল অভিমুখে এগিয়ে যান রিয়াল ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। তখন ডি-বক্সের মধ্যে মধ্যে বাজে ট্যাকেলের শিকার হন তিনি। এতে পেনাল্টি পেয়ে যেতে পারত লস বাঙ্কোসরা।
তবে আগেই এমবাপ্পে অফসাইডের ফাঁদে পা দেওয়ায় পেনাল্টি পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে ৩-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে কাতালানরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বার্সেলোনা। তবে তাদের গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২৮ মিনিট। এসময় লামিল ইয়ামালের দেওয়া পাস থেকে জোড়ালো শটে দলকে এগিয়ে দেন পেদ্রী।
প্রথমার্ধে বলার মতো তেমন কোনো আক্রমণ বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই নিজেদের আসল রূপ দেখায় রিয়াল।
এদিন শুরুর একাদশে অজানা কারণেই এমবাপ্পেকে রাখেননি কার্লো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামেন তিনি। আর মাঠে নেমেই একের পর এক আক্রমণে বার্সার রক্ষণভাগকে হতভম্ব করে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০মিনিটে বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগ তৈরি ভিনি-এমবাপ্পেরা। তবে সফলতার দেখা পায় ৬৯তম মিনিটে।
এসময় ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। যা ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফ্রি-কিক থেকে পাওয়া গোল।
এরপর ৭৪ মিনিটে আর্দা গুলারের কর্নার থেকে চুয়োমেনি গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন।
তবে নাটক তখনও শেষ হয়নি। রিয়াল মাদ্রিদ যখন তাদের ২১তম শিরোপার দিকে একটু একটু করে আগাচ্ছিল ঠিক তখনই রিয়ালের জালে বল পাঠান লেভানডভস্কির ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া ফেরান তোরেস।
যদিও এই গোলটি ডিফেন্ডার রুডিগার এবং গোলরক্ষক কর্তোয়ার ভুলেই হজম করেছে লস বাঙ্কোসরা।
১১৫ মিনিটে রিয়ালের অর্ধে মদ্রিচের পাস পেতে গিয়ে ব্রাহিম দিয়াজ হোঁচট খান। এই সুযোগে দ্রুত বল দখল করে জুলস কুন্দে ছুটে এসে নেয় এক জোরালো শট— যা ঠেকাতে ব্যর্থ হন কোর্তোয়া। গোল লাইনের বল জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে বার্সা শিবির।
এটি চলতি মৌসুমে বার্সার দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপেও এই রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল কাতালানরা।
আপনার মতামত লিখুন :