ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অ্যাপসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাখিবন্ধু পদক পেলেন আকাশ কালি দাস

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৯:০০ এএম

অ্যাপসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাখিবন্ধু পদক পেলেন আকাশ কালি দাস

ছবি সংগৃহীত

২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করা এসোসিয়েশন অব প্যারট এন্ড প্যারাকিট স্টকব্রিডার্স (অ্যাপস) দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে এ বছরের ১ মে। প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সেদিনই সংগঠনের সদস্যদের এক বড় অংশ তাদের পরিবারের সদস্যদরা মিলিত হন ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় একটি রিজোর্টে।

ঢাকার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করার সময় উদ্ধার করা এক ঝাঁক বন্য টিয়া পাখি অবমুক্ত করে সকাল বেলায় দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা এবং বিকেল বেলায় বেশ কিছু গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে সাদিয়া ইসলাম সঞ্চালিত অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


মাঝখানে বছর ব্যাপী অনুষ্ঠিত নানান প্রতিযোগিতার সারাদেশ থেকে আগত বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি বিগত ব্রিডিং সিজনে অসামান্য সফলতার জন্যে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। ক্রেস্ট দিয়ে একে একে বরণ করে নেয়া হয় ৯জন আজীবন সদস্যকে। 


সেখানে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘোষণা করা হয় ‘পাখিবন্ধু’ নামে এক বিশেষ পদক। এখন থেকে বনের পাখি তথা পরিবেশ ও প্রকৃতির যথাযথ সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবছর এ পদক দেয়া হবে।

এর বর্তমান অর্থমূল্য ১০ হাজার টাকা। 
প্রথমবারের মতো এই পদক পেলেন পাখি-বন্ধু পদক প্রাপ্ত পাবনা জেলার বেড়া থানার অন্তর্গত কইটোলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শ্রী আকাশ কলি দাস। তার হাতে পদকটি তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি পাখি পালন ও চিকিৎসার কিংবদন্তি ডা. এম এ মান্নান, আইন সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম, সিনিয়র ব্রিডার, সংগঠক ফটো সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক খান জেহাদ। 


পদক পেয়ে ৮৮ বছরের আকাশ কলি দাস আপ্লুত। তিনি জানান, ‘পাখিদের ভালোবেসে আমি তৃপ্তি পাই। পাখিরা মাঠে গেলে মানুষ নানাভাবে শিকার করে। তাই তারা এখানে এসে নিরাপদ স্থানে বসবাস করছে। পশুপাখি ভালোবাসি। গাছগাছালি কাটি না; যাতে করে ওরা থাকতে পারে। আমি ওদের পাহারা দিয়ে রাখি। যাতে পাখিদের ওপর অত্যাচার না হয়, সে জন্য আমি ধীরে ধীরে আমার বাড়িতে জঙ্গল গড়ে তুলেছি। আমার একমাত্র চিন্তা পাখিদের নিরাপত্তা। পাখিদের ভালোবেসে যা কিছু পাই তা আমাকে আনন্দ দেয়। এই পদক পেয়েও খুব ভালো লাগছে। যারা আমাকে সম্মানিত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।


আকাশ কালি দাস পার্কিনসন্সের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। পাখির প্রতি তার আশৈশব ভালোবাসা। পৈতৃক সম্পত্তির মালিকানা নিজের হাতে আসার পরই সেই প্রেম থেকে উৎসারিত অভয়ারণ্য তৈরির ভাবনা ও দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে দুই একর জমির মধ্যে হাজার হাজার বৃক্ষ রোপন, পরিচর্যা ও সংরক্ষণের পাশাপাশি সেসব গাছে বিভিন্ন ঋতুতে উড়ে আসা, বসা বা বাসা বানানো দেশি বিদেশি হাজারো প্রজাতির পাখিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছেন তিনি। 
এদিকে ১৫ মে থেকে দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে অ্যাপস। 

Link copied!