ঢাকা রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

রং চায়ের উপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
রং চায়ের রয়েছে অনেক গুন। ছবি: সংগৃহীত

লাল চা, রং চায়ের রয়েছে অনেক গুন। দুধ-চিনি ছাড়া এই লাল চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে মানুষ চা পান করছে। অভিজ্ঞদের মতে সব ধরণের চায়ে কিছু না কিছু উপকারিতা রয়েছে। রং চায়ে থাকা পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রং চায়ে থাকা থিয়েফ্লাভিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্য চায়ে পাওয়া যায় না। এই কারণে অন্যান্য চায়ের থেকে রং চায়ের উপকারিতা একটু বেশি।

চিনি ছাড়া চা খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়


হৃদযন্ত্রের যত্নে

রং চায়ে থাকা থিয়েফ্লাভিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। ফ্ল্যাভোনয়েড নামক আরেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন রং চা পানের অভ্যাস রক্তচাপসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।  

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় অন্যতম কারণ হলো স্ট্রোক। গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন অন্তত ২ কাপ রং চা পানে যারা রং চা পান করে না তাদের তুলনায় ১৬ শতাংশ পর্যন্ত স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।  

ফোকাস বাড়ায়

অন্যান্য চায়ে না থাকলেও রং চায়ে ক্যাফেইন রয়েছে। কফির তুলনায় পরিমাণে অর্ধেক ক্যাফেইন চায়ে পাওয়া যায়। রং চায়ে এল-থিয়ানিন অ্যামিনো এসিডের উপস্থিতিও রয়েছে। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ তৎপরতা ও ফোকাস বাড়াতে সহায়তা করে।  

রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়

চিনি ছাড়া রং চা পানে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে রং চা। 


ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

রং চা পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে কি না- তা নিয়ে কয়েক দশক ধরে গবেষণা চলছে। গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন, চায়ে  থাকা পলিফেনল কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

চিনি ছাড়া চা খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়

লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা

রং চায়ের নানা উপকারিতা থাকলেও এতে ক্যাফেইনের উপস্থিতি থাকায় অভিজ্ঞরা দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণে পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

* চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনরে সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
* চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।
* চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না।
* চায়ের মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়োফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে।