শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৯:০৬ এএম

শ্বাসকষ্ট রোগীদের রোজা

মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৯:০৬ এএম

শ্বাসকষ্ট রোগীদের রোজা

প্রতীকী ছবি

ইনহেলার শ্বাসকষ্টের রোগীর জন্য এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা রোগী শ্বাসের মাধ্যমে টেনে নেন এবং ওষুধ শ্বাসনালিতে পৌঁছায়। অনেকেই মনে করেন, ইনহেলার হাঁপানির সর্বশেষ চিকিৎসা।

রোজা রাখা অবস্থায় কেউ যদি ইনহেলার নেয়, তবে রোজা ভাঙবে না। কারণ ইনহেলার খাদ্যের পরিপূরক নয়। ইসলামিক স্কলাররা এ বিষয়ে স্পষ্ট বলেছেন, এটা সহজেই রোজা রেখে নেওয়া যাবে। তারপরও যদি কেউ না নিতে চান তবে সেহরি এবং ইফতারের সময় দুই পাফ করে নিতে হবে। এখন বিভিন্ন জেনথিন গ্রুপের ওষুধ আছে, যেমন-ইউনিকনটেন, কনটেন (একটা ২০০ মিলিগ্রামের ওষুধ), ইফতার করে একটা, সেহরির পর একটা খাওয়া যায়। তাহলে পুরো সময়টাই শ্বাসকষ্ট মুক্ত থাকা যায়। রাতে শোয়ার সময় মন্টিলুকাস ১০ মিলিগ্রাম ওষুধ খেলে খুব সহজেই রোজা রাখা যায়।

ইনহেলার একবার ব্যবহার করলে পরে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ কমানোর জন্য আর অন্য কোনো ওষুধ কাজে আসে না। তাদের জেনে রাখা ভালো, শ্বাসকষ্টের প্রথম ও প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে ইনহেলার। রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। রোজা হাঁপানি রোগ বাড়ায় না। তবে সতর্ক থাকতে হবে। জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

১/ এখন অনেক ডিভাইস (যন্ত্র) পাওয়া যায়, যা ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগী স্বচ্ছন্দে রোজা রাখতে পারেন। লং-অ্যাকটিং বিটা অ্যাগোনিস্ট (এলএবিএ) এবং ইপ্রাটোপিয়াম ইনহেলার ইফতারের সময় দুই পাফ বা দুবার শ্বাসের মাধ্যমে টেনে নেওয়া এবং সেহরির সময় দুবার টেনে নেওয়া যায়। তাহলে লম্বা সময় ভালো থাকা যায়।

২/ চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী ইনহেলার খাদ্যের পরিপূরক নয়। ইনহেলার নিতে হয় রোগীকে সুস্থ রাখার জন্য। এরপরও যদি কেউ না নিতে চান, তবে সেহ্রি ও ইফতারের সময় দুই পাফ করে নিতে হবে।

৩/ এর সঙ্গে ডক্সোফাইলিন গোত্রের ওষুধ ইফতারের পর একটা এবং সেহ্রির পর একটা খেয়ে নিলে দিনের পুরো সময় শ্বাসকষ্টমুক্ত থাকা সম্ভব।

৪/ কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলোতে অ্যালার্জি হয় ও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। যেমন- গরুর মাংসের অনেক বিভিন্ন পদ, চিংড়ি, বেগুন, সামুদ্রিক খাবার। অনেক হাঁপানি রোগীর এসব খাবারে অ্যালার্জি আছে।

৫/ হাঁপানি রোগীর জন্য ইফতারি ওইভাবে সাজিয়ে নেবেন। একজন শ্বাসকষ্টের রোগী যদি খুব পেট ভরে খায়, তবে দম নিতে সমস্যা হয়।

 

আরবি/এসআর

Link copied!