ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। যিনি সমাজে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজের মাধ্যমে তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।
১৯৫০ দশকের শেষের দিকের এক ছোট্ট শহর, চট্টগ্রামের একটি সাধারণ বাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। বিদ্যালয়ের প্রথম দিনগুলো থেকেই ‘নেতৃত্ব’ নিয়ে তার মধ্যে এক বিশেষ ধরনের আগ্রহ ছিল। তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল, একজন নেতা হতে হলে শুধু পড়াশোনাই যথেষ্ট নয়।
বিদ্যালয় জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন। ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে বয় স্কাউটে অংশগ্রহণ করেন। এসব অভিজ্ঞতা তাকে নেতৃত্বের গুণাবলী এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখায়। যা পরবর্তীতে তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্কাউট জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি রুপালী বাংলাদেশের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হলোঃ-

স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে ইউনূস শিখেছিলেন কিভাবে দলগতভাবে কাজ করতে হয়। স্কাউট এ একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সদস্যরা শিখে কোনও বড় কাজই এককভাবে সম্ভব নয়। এজন্য একজন নেতা হিসেবে কাজ করার সময় তিনি সহকর্মীদের সহযোগিতা নিতেন এবং সবাইকে একসাথে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন।

স্কাউট আন্দোলন ব্যক্তিগত এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ শেখাতে অত্যন্ত কার্যকরী। ইউনূস তার স্কাউটের মাধ্যমে শিখেছিলেন কিভাবে নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হয় এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয়।

স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে ইউনূস শিখেছিলেন, নেতৃত্বে সাহসিকতা এবং দৃঢ় মনোভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার স্কাউট জীবনের শিক্ষা তাকে এই দৃঢ় মনোভাব বজায় রাখতে সহায়তা করেছিল।

জাম্বোরিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউনূস নেতৃত্বের প্রকৃত রূপ এবং দলগত কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে উপলব্ধি করেন। এই অভিজ্ঞতা তাকে পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেরণা দেয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্কাউট জীবন তাকে শুধু শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করেনি বরং তাকে একজন বিশ্বমানের নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। জাম্বোরি এবং স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে শেখা সহানুভূতি, সহযোগিতা, দায়িত্ববোধ এবং দৃঢ় মনোভাব তাকে তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এবং একটি বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাহায্য করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :