রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা-অপকারিতা

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা-অপকারিতা

প্রাণিজ ও উদ্ভিজ- দুই উৎস থেকেই পাওয়া যায় আমিষ। ছবি: সংগৃহীত

মানবদেহের সুষ্ঠু বিকাশ ও সুস্থ জীবনের জন্য সুষম খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সুষম খাদ্যের একটি অপরিহার্য উপাদান হলো আমিষ। আমিষ আমাদের শরীরের কোষ গঠন, ক্ষয়রোধ এবং বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এটি প্রোটিন নামেও পরিচিত, যা মানুষ ও প্রাণীর জীবনে জ্বালানি ও কাঠামোগত উপাদান হিসেবে কাজ করে। তবে, অন্যান্য পুষ্টির মতো আমিষও অতিরিক্ত বা অনিয়মিত গ্রহণ করলে কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা আমাদের সকলের জন্য জরুরি।

আমিষ প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে, প্রাণিজ আমিষ এবং উদ্ভিজ আমিষ।

আমিষ জাতীয় খাবারের উপকারিতা

আমিষ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো:

শরীর গঠনে সহায়তা: প্রোটিন কোষ তৈরি ও পুরাতন কোষ মেরামতে সাহায্য করে।
পেশি শক্তিশালী করে: যারা ব্যায়াম করেন বা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য আমিষ অপরিহার্য।
হরমোন ও এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে: অনেক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন ও এনজাইম আমিষ থেকে তৈরি হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রোটিন ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
শিশুদের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে সহায়ক।

আমিষ জাতীয় খাবারের অপকারিতা

আমিষ আমাদের দেহের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের কোষ গঠন, পেশি শক্তিশালীকরণ এবং নানা শারীরিক কার্যক্রমে সহায়তা করে। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়- এই কথাটি আমিষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

যদিও আমিষ জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি, কিন্তু যখন তা অতিরিক্ত বা অনিয়মিতভাবে গ্রহণ করা হয়, তখন তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকটি অনেক সময়েই উপেক্ষিত থেকে যায়।

কিডনির ওপর চাপ পড়ে: অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চর্বি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে: বিশেষ করে লাল মাংস বেশি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
হজমের সমস্যা: অনেক সময় অতিরিক্ত আমিষ হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি: গবেষণায় দেখা গেছে, রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খেলে কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

আমিষ জাতীয় খাবারের উৎস

আমিষ আমরা প্রাণিজ এবং উদ্ভিজ উভয় উৎস থেকেই পেতে পারি।

প্রাণিজ উৎসের আমিষ:

  • মাছ  
  • মুরগির মাংস  
  • গরু ও খাসির মাংস  
  • ডিম  
  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: ছানা, ঘি, দই)  
  • চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার

উদ্ভিজ উৎসের আমিষ:

  • ডাল (মসুর, মুগ, ছোলা, বুট)  
  • সয়াবিন  
  • বাদাম (চিনাবাদাম, কাঠবাদাম)  
  • বীজ (তিল, চিয়া, সূর্যমুখী বীজ)  
  • ছাতু  
  • মাশরুম  

আমিষ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য হলেও, এর সঠিক পরিমাণ এবং সুষম গ্রহণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আমিষ খাওয়া উচিত। সঠিক ও পরিমিত আমিষ গ্রহণই হতে পারে সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।

আরবি/এসএস

Link copied!