ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ক্যারিয়ার গড়তে গ্লোবাল সুযোগ

মির্জা হাসান মাহমুদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৫:১১ পিএম

ক্যারিয়ার গড়তে গ্লোবাল সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন অনেক শিক্ষার্থীর মনেই থাকে। আজকের বিশ্বায়িত সমাজে ক্যারিয়ারের সুযোগ শুধু নিজের দেশের গণ্ডিতেই নয়, গ্লোবাল সুযোগ গ্রহণ করে নিজেকে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা সম্ভব। বিশেষ করে, স্কলারশিপ, ফেলোশিপ, আন্তর্জাতিক ইন্টার্নশিপ, গ্লোবাল কনফারেন্স ও সামিটে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে।

স্কলারশিপ
স্কলারশিপ হলো এমন একটি সুযোগ যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অর্থনৈতিক বাধা কমিয়ে আনে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের সুযোগ প্রদান করে থাকে। যেমন, ফুলব্রাইট, চেভনিং,DAAD ইত্যাদি স্কলারশিপ বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্কলারশিপগুলো শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা লাভেরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। একজন শিক্ষার্থী যখন স্কলারশিপের মাধ্যমে বিদেশে পড়াশুনা করে, তখন তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের দক্ষতা, গবেষণার সক্ষমতা ও ভাষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধির সুযোগ পান। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সাথে পরিচিত হয়ে তারা একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হন।

ফেলোশিপ
ফেলোশিপ একটি বিশেষায়িত প্রোগ্রাম যা শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে। গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফেলোশিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে যারা গবেষণামূলক কাজ করতে আগ্রহী। যেমন, রোডস ফেলোশিপ ,হিউবার্ট হামফ্রি ফেলোশিপ,গেটস ক্যামব্রিজ ফেলোশিপ ইত্যাদি।
ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুধু শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ দেয়া সহ তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক মানদণ্ডে নিজেদের গবেষণা তুলে ধরতে পারে, যা তাদের ক্যারিয়ারে সাফল্যের পথ সুগম করে।  

আন্তর্জাতিক ইন্টার্নশিপ
আন্তর্জাতিক ইন্টার্নশিপ একটি মূল্যবান সুযোগ যা শিক্ষার্থীদের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। IAESTE, AIESEC এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পায়। এই ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে শিখতে সহায়তা করে।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের চাহিদা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, ইন্টার্নশিপের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশের কর্মসংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়ে তাদের কর্মক্ষমতা ও পেশাগত মান বৃদ্ধি করতে পারে।

গ্লোবাল কনফারেন্স ও সামিট
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গ্লোবাল কনফারেন্স ও সামিট শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে, যেখানে তারা নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরতে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। যেমন,TEDx ইভেন্টস,Harvard Model United Nations কনফারেন্স ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। গ্লোবাল কনফারেন্সগুলোতে অংশগ্রহণ করা মানে হলো বৈশ্বিক সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা, যা শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনায় বৈচিত্র্য এনে দেয় এবং তাদের নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করে।
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!