ঢাকা সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গৃহকৃষি: সহজ করবে জীবনযাত্রা

নদীকান্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ১১:৩৮ এএম

গৃহকৃষি: সহজ করবে জীবনযাত্রা

ফাইল ছবি

এখনো কিছু শৌখিন মানুষ আছেন কংক্রিটের এই যুগেও যারা থাকতে চান প্রকৃতির প্রেমে আবদ্ধ। রং-তুলির আঁচড়ে বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেন সবুজায়ন। শখের আঙিনায় চাষ করেন নানান ফুল ও মৌসুমি সবজি। যা তাদের দেয় মানসিক শান্তি এবং পর্যাপ্ত অর্থের যোগান। হ্যাঁ, বর্তমানে গৃহকৃষি শুধু খাদ্য উৎপাদনের একটি উপায় নয়, এটি আমাদের জীবনযাপনেরও অংশ। আপনিও চাইলে আপানার স্বপ্নের বাড়ির আঙিনাকে রাঙতে পারেন প্রকৃতির রঙে।

গৃহকৃষির সুবিধা

স্বাস্থ্যকর খাদ্য: বর্তমান বাজারে ভেজাল খাদ্যের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতোসব ভেজালের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিতকরণ মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই নিজের অজান্তেই ভেজাল খাবার খেয়ে অনেকেই বয়ে বেড়ায় নানান জটিল রোগ। এর থেকে মুক্তি পেতে গৃহকৃষি হতে পারে কার্যকরী সমাধান। যা রাসায়নিক মুক্ত খাদ্য সরবরাহে সহযোগিতা করবে।

অর্থ সঞ্চয়: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন ক্রমেই দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। তাই অর্থ সাশ্রয়ে গৃহকৃষিতে মনোনিবেশ করছেন অনেকেই। এতে বাজারের তুলনায় উৎপাদন খরচও কম।

সঙ্গতিপূর্ণ জীবনযাপন: গৃহকৃষি অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ফাঁকা বা অবসর সময়কে সৃজনশীলভাবে কাজে লাগায়।

শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা: এ ছাড়াও গৃহকৃষি পরিবারের সব সদস্যের জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা। এটি সবার মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা ও খাদ্য উৎপাদনের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা গড়ে তোলে।

গৃহকৃষির বিভিন্ন পদ্ধতি

সবুজ গাছের বাগান: গৃহকৃষির জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে সহজলভ্য পদ্ধতি হচ্ছে ছোট ছোট টবে বা খাঁচায় বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল চাষ করা।

হাইড্রোপনিক্স: হাইড্রোপনিক্স হলো মাটির পরিবর্তে পুষ্টিসমৃদ্ধ জলে, গাছপালা বাড়ানোর একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, অল্প এলাকায় উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা এবং খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের সমস্যাগুলো মোকাবিলার সম্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অর্গানিক কৃষি: গৃহকৃষিতে চাইলে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদও করা যায়। যেমন- কম্পোস্ট সারের ব্যবহার।
শুরু করার উপায়

স্থান নির্বাচন: গৃহকৃষির জন্য আপনাকে প্রথমে স্থান নির্বাচন করতে হবে। শুরুতে বাড়ির ছাদ, ব্যালকনি বা আঙিনার যে কোনো একটা বেছে নিতে পারেন।

উপকরণ সংগ্রহ: স্থান নির্বাচন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর উপকরণ সংগ্রহ করতে হবে। যেমন- টব, মাটি, বীজ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।

রক্ষণাবেক্ষণ: যে কোনো কৃষিতেই রক্ষণাবেক্ষণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ যত্ন ও পরিচর্যা উপহার দেয় ভালো ফলন। তাই নিয়মিত পানি দেওয়া ও অন্যান্য যত্ন নিতে হবে।

চ্যালেঞ্জ ও সমাধান: আবহাওয়ার পরিবর্তন অনুযায়ী ফসল নির্বাচন কিংবা আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সে ক্ষেত্রে একজন কৃষিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন।
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!