ঢাকা সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

কৃষিতে ডিজিটাল পদ্ধতি

নদীকান্ত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম

কৃষিতে ডিজিটাল পদ্ধতি

ছবি: সংগৃহীত

প্রকৃতির আপন নিয়মে উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের জন্ম এবং বৃদ্ধি হলেও আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে কৃষিতে আধুনিকতার রয়েছে বিরূপ প্রভাব। ডিজিটাল কৃষি বা স্মার্ট এগ্রিকালচারের মাধ্যমে কৃষি খাত হয়ে উঠছে সহজ থেকে সহজতর। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, ব্যবস্থাপনা এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ছাড়াও এই পদ্ধতি রাখছে খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা। এ বিষয় নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন কৃষিবিদ মো. আশরাফুল আলম।

তিনি বলেন, ‘কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে ডিজিটাল কৃষি। খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এখনকার কথা ভাবলে শুধু চলবে না, মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতের কথাও। সে জন্য ডিজিটাল কৃষির ওপর জোর দেওয়া জরুরি। ডিজিটাল কৃষির হাতিয়ারগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন, ড্রোন, সেন্সর ও বড় ডেটা। কৃষকরা এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষি সম্পর্কিত তথ্য গ্রহণ করতে পারছেন। এই অ্যাপগুলোতে আবহাওয়া পূর্বাভাস, মাটির স্বাস্থ্য এবং ফসলের উপযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কৃষকরা আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস জানার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সেচ ও সার প্রয়োগ করতে সক্ষম হচ্ছেন, যা ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করছে। এ ছাড়াও ডিজিটাল কৃষির আরেকটি সুবিধা হলো- তথ্যের সহজ প্রবেশাধিকার। ডিজিটাল কৃষির মাধ্যমে কৃষকরা বাজারের দামে পরিবর্তন এবং অন্যান্য কৃষকদের অভিজ্ঞতা জানতে পারেন, তখন তারা সঠিক সময়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটি তাদের আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে। আবার স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা ড্রোন ও সেন্সরের সাহায্যে ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ড্রোন ব্যবহার করে মাঠের ছবি তোলা, পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি নিরীক্ষণ করা, এবং সেচের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে কৃষকরা সঠিকভাবে ফসলের পরিচর্যা করতে পারছেন, যা ফলনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। তাই বলাই যায় ডিজিটাল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তায় একটি কার্যকরী এবং স্থায়ী সমাধান। প্রয়োজনে যেকোনো কৃষিবিদদের পরামর্শ নিয়ে হলেও কৃষকদের ধীরে ধীরে ডিজিটাল এই পদ্ধতির দিকে এগিয়ে আসা উচিত।’
 

আরবি/ আরএফ

Link copied!