নভেম্বর ১২ তারিখ থেকে আমাদের সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আর শেষ হবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে। এই পরীক্ষার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে অনার্স জীবনের সমাপ্তি। যদিও আমি আগের থেকেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি তবুও অনার্স শেষে চিন্তা আছে সরকারি চাকরি জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার। যেহেতু আমি পরিবারের বড় সন্তান আমার ওপর পরিবারের দায়িত্ব অনেক। ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা; তার ক্যারিয়ার সব কিছুই আমাকে দেখতে হবে। তাই আমি চাই পরীক্ষা শেষে একটুও সময় নষ্ট না করে প্রাইমারি, আথিক প্রতিষ্ঠান, এবং এনজিওগুলোতে চাকরি সহজে পাওয়া যাবে তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে।
বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান চাকরির আবেদনের পূর্বশর্ত হিসেবেই ‘স্নাতকোত্তর’ ডিগ্রির কথা উল্লেখ করে দেয়। স্নাতকের পরপরই চাকরির আবেদন করতে গিয়ে তাই অনেকেই শুরুতে ধাক্কা খান। তবে যদি নানা রকম সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ততা থাকে, নেতৃত্ব দেওয়ার কিংবা খণ্ডকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি না থাকার ‘বাধা’ কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই স্নাতক শেষে আগে নিজেকেই প্রস্তুত করতে হবে। বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ারে ভালো করতে হলে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। যোগাযোগ দক্ষতা না থাকলে অনেক সুযোগই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। কীভাবে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়, কীভাবে ফরমাল ই-মেইল লিখতে হয়, কীভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত কারও সঙ্গে কথা বলতে হয়, কীভাবে অনেক মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় প্রভৃতি বিষয়ে অনুশীলনের মাধ্যমে শিখতে হবে। সাবজেক্ট ম্যাটারের পাশাপাশি অবশ্যই নিজের দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। সফটওয়্যার নিয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে চেষ্টা করতে হবে। দক্ষ হতে হবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট ও এক্সেলে। শিক্ষাজীবন থেকে বের হয়ে চাকরির প্রায় সব খাতে এই দক্ষতাটি দারুণ কাজে দেবে বলে দিপা মনে করে। হাজারো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে আপনার পার্থক্য গড়ে দেবে এই একটি কাজে দক্ষতাই!
অনুলিখন : তাহমিনা বৃষ্টি
আপনার মতামত লিখুন :