অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫ উপলক্ষে আসছে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক আদনীন কুয়াশার উপন্যাস ‘ক্রোধ কিংবা প্রলয়’, যার জনরা থ্রিলার। লেখকের মীরা সিরিজের ২য় উপন্যাস এটি। এর আগে মীরা সিরিজ নিয়ে তিনি প্রথম কাজ করেছিলেন তার আলোচিত সাইকো থ্রিলার ‘ভ্রম বিভ্রম’ নিয়ে।
যে পাঠকরা ‘ভ্রম বিভ্রম’-এর অখণ্ড পর্ব পড়ার অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের জন্য এই বই একটি বাড়তি পাওনা বলে জানিয়েছেন লেখক। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কপোতাক্ষ এবং টাইপোগ্রাফিতে ছিলেন সামিউল হাসান। প্রকাশ পাবে `জ্ঞানকোষ প্রকাশনী` থেকে। ইতোমধ্যে লোভনীয় ছাড়ে বিভিন্ন বুকশপগুলোতে শুরু হয়েছে বইটির প্রি-অর্ডার। প্রকাশনী সূত্রে জানা যায়, আদনীন কুয়াশার ভক্তগণ ও থ্রিলার প্রেমী পাঠকরা ব্যাপক সাড়া দিয়ে প্রি-অর্ডারেই বইটি সংগ্রহ করছেন।
এবারের বই সম্পর্কে লেখক দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘থ্রিলার আমার ব্যক্তিগত পছন্দের জনরা হলেও, মাঝখানে বেশ কয়েকটা সামাজিক গল্প নির্ভর উপন্যাস নিয়েই কাজ করেছি। কিন্তু ২০২৪ সালের মেলায় গাজীপুর থেকে আমার এক পাঠকের দল এসে আমার কাছে আক্ষেপ নিয়ে জানতে চায়, থ্রিলার কেন লিখছি না! সেদিনই পরিকল্পনা করে ফেলেছিলাম সামনের মেলায় থ্রিলারই থাকবে। বছর তিনেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার একটা ছোট গল্প ভীষণ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল, যা তখন পরিপূর্ণভাবে লেখা হয়নি, ফলে ‘ক্রোধ কিংবা প্রলয় বিস্তারিতভাবে আরও পড়াশোনা করে শেষ করা হয়েছে, যেন বইমেলায় পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রোধ কিংবা প্রলয়’ পড়ার সময় পাঠক পরিচিত হবে দুঃসাহসিক এক সাইকো কি*লার সংঘের সাথে, যারা প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শহরের নানা বয়সী নারীদের হ*ত্যা করে চলেছে। যে হ*ত্যা স্বাভাবিক কোনো হ*ত্যা নয়! সাইকো কি*লার অসহায় নারীদের শরীরের র*ক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত কেড়ে নেয়, যতক্ষণ পর্যন্ত দেহে প্রাণ থাকে। কিন্তু এর পেছনে কী কারণ? কেনই বা একটি নির্দিষ্ট সময়েই তাদের এই হ*ত্যা কর্মকাণ্ড! এসব ভয়ানক ঘটনার পেছনে ছুটতে থাকে মীরা এবং এসআই নূরুল! যা পাঠকদের ভাবাতে বাধ্য করবে।
আমার বিশ্বাস, বইটির প্রচার ঠিক মতো হলে এবং থ্রিলার প্রেমী পাঠকদের হাত পর্যন্ত পৌঁছালে উপন্যাসটি সার্থকতার পথে হাঁটবে। আশা করি পাঠক আমার এবারের থ্রিলার উপন্যাস `ক্রোধ কিংবা প্রলয়`কে সাদরে গ্রহণ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :